সিলেট শহর থেকে খুব বেশী দূরে নয়। এয়ারপোর্ট রোড ধরে এগুলে সদর উপজেলার ছালিয়া গ্রামে। প্রধান সড়ক থেকে ২/৩ কি.মি ভেতরে নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে তোলা হচ্ছে দ্য গার্ডিয়ানস-ক্যাপ ফাউন্ডেশনের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য ইংলিশ কারিকুলামের আবসিক স্কুল। গ্রামের ভেতর দিয়ে এখনো মাটির রাস্তা দিয়ে প্রকল্প এলাকায় যেতে হয়।
সিলেটে দ্য গার্ডিয়ানস-ক্যাপ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও নতুন লেক উদ্বোধন উপলক্ষে এক রাজকীয় ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পর্তুগালের প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্যরা প্রকল্প এলাকায় পৌছালে সিইও নূর হায়াত ও চিফ প্যাট্টন বি.জে আবু সাঈদ মোহাম্মদ বাকির তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
সিলেটের ফাউন্ডেশন ভবনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্যার শেখ আলিউর রহমান কেজিআইওয়াই এবং স্যার আসিফ নিয়াজ বজলুল, কেজিআইওয়াই, সিইও ও ইউনন অ্যাম্বাসেডর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লর্ড এডুয়ার্ড শিউ, অনারেবল ইমরান ইমাম ও সি.ডি. হেনরি, অনারেবল আনজুমেন আরা মারিয়া, স্যার আনিসুল হক (লন্ডন কনসাল, জিসিপিএমসি), ডা. মিথিলা রহমান এবং মানবাধিকার কর্মী রাশেদা পিন্টু প্রমুখ।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী সংস্থার চলমান ও আসন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মানবাধিকার কর্মী এবং সমাজসেবীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দ্য ক্যাপ ফাউন্ডেশন সমাজের অবহেলিত ও অনাথ শিশুদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবায় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
পরে প্রতিনিধিদল ও অতিথিরা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধান অতিথিরা প্রকল্পের ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তার বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ। সিইও নূর হায়াত বিভিন্ন ডরমেটরি, ক্লাশ রোম, মসজিদ ঘুরে দেখেন এবং লেক এর নাম ফলক উম্মোচন করেন।
দ্য গার্ডিয়ানস-ক্যাপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নূর হায়াত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানবিক সমাজ গড়তে কাজ করছি। এই সমর্থন আমাদের আরও অনুপ্রেরণা দেবে।”
তিনি জানান, প্রকল্পটি আবাসিক পরিবেশে ক্লাশ থ্রি থেকে হাইস্কুল লেভেলে শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কারিকুলামে লেখা পড়া করবে। ১০০-১৫০ জনের জন্য সব ধরনের সুযোগ ও দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর সেশন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে সিইও নূর হায়াত জানান, প্রকল্পের প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।