হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

শীতজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগী

শিল্পী বণিক, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ)

বাজিতপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশু। ছবি: আমার দেশ

শীতের প্রভাব বাড়তে থাকায় বাজিতপুরের হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারাই মূলত আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ার মতো রোগগুলোতে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসক বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ওসমানপুর নয়াহাঁটা থেকে ১১ মাসের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন লিপি ও ইসমাইল দম্পতি। তাদের ছোট্ট মেয়ে তহুরা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত। মায়ের কাঁধে নাক ঘষছে আর কাঁদছে, ছোট্ট তহুরার কান্না বলে দিচ্ছে, তার শরীর ভালো নেই। মা লিপি বলেন, বুকের দুধ ছাড়া কিছুই মুখে নিচ্ছে না। সর্দিতে নাক বন্ধ থাকার কারণে ঠিকমতো দুধও খেতে পারে না। 

গত শুক্রবার সরারচর ইউনিয়নের জারুইতলা থেকে বাজিতপুর সরকারি হাসপাতালে ১৮ মাস বয়সের ছেলেকে নিয়ে এসেছেন মা সুমাইয়া বেগম (৫৫)। তিনি বলেন, চার দিন ধরে ছেলের জ্বর, সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমে আছে। এখনো ডাক্তার দেখাতে পারিনি। ১১টা বাজে ডাক্তার আসেনি। ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর ও শ্বাসে টানধরা নিয়ে ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ সিরাজ মুন্সী। বহির্বিভাগে কথা হয় তার সঙ্গে। ছেলে সোহেল রানা হাসপাতালে সিরাজকে মুন্সী নিয়ে এসেছেন। সোহেল রানা বলেন, বাসায় আমার মায়েরও শরীর খুব খারাপ, বাড়ি থেকে হাসপাতাল দূর বলে, হাসপাতালে আসতে চায় না মা। তাই ফার্মেসি থেকে ওষুধ, কখনো ছোটখাটো মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ মতে ওষুধ এনে খাওয়াচ্ছি। ভালো না হলে হাসপাতালে আনতে হবে।

বাজিতপুর সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দিনে সাধারণ ঠান্ডা জনিতসমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ২৪৩ শিশু। আর ঠান্ডাজনিত জটিলতা নিয়ে ভর্তি হয় ৩৫ শিশু। নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি আছে ১১ শিশু। অ্যাজমা নিয়ে ভর্তি ৬ শিশু। ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৮৯ জন শিশু। নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৯ শিশু। ২০২৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে মোট ১৭২ জন শিশু। ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৫ জন।

ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. রাশেদ আলম চৌধুরী বলেন, শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে শিশুকে শীতের কাপড় পরাতে হবে, মাথা ঢেকে রাখতে হবে, মাথায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না, বাড়ির বাইরে অহেতুক বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। শিশুর ঠান্ডা লাগলে, কাঁশি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। কুসুম গরম পানি খাওয়াতে হবে, শীতের কাপড় পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ঘর বন্ধ করে রাখা যাবে না, আলো, বাতাস যাতে প্রবেশ করতে পারে সে জন্য দিনে দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুন সালেহীন আমার দেশ প্রতিনিধিকে বলেন, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ে। সেটা বায়ুদূষণের কারণেও বাড়ে, তাছাড়া দিনে দিনে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ঠান্ডা রোগে শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দেশে পাথর মেরে মানুষ হত্যার রাজনীতি আর চলবে না

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে ৬৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর

গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনো আপস করেননি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ্যে ঘুষ কাণ্ডের জেলা প্রশাসনের দুই কর্মচারীকে শোকজ

রাজশাহী মহানগরের ১২ থানার ওসি বদল

২১ লাখ টাকার ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৪

সড়ক প্রশস্তকরণের নামে পাঁচ শতাধিক অর্জুন গাছ কর্তন

নির্বাচন যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মাহমুদুর রহমান মান্না

ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে অরক্ষিত ২০ লেভেলক্রসিং বন্ধ