হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ, অভিভাবকদের ক্ষোভ

উপজেলা প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে সমাপনী পরীক্ষা। ১ ডিসেম্বর সোমবার থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছে।

এদিকে সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও পটিয়া পৌর সদরের দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার জন্য খাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। জানা যায়, পটিয়া উপজেলায় ১৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

সোমবার থেকে বিদ্যালয় গুলোতে শুরু হয়েছে সমাপনী পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য কোন ফি নেয়ার বিধান নেই। ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার ফি নেয়া বন্ধ করে দেয়।

এ পরীক্ষার যাবতীয় খরচের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয় প্রতি বছর। যা শিক্ষার্থীর হার অনুপাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অনুমোদন করে।

কিন্তু সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও পটিয়া পৌর সদরের মোহছেনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে পরীক্ষার খাতা।

২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মোহছেনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে এ অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সরকারি বরাদ্দ আছে সেটা জানতাম না, আমাদের সন্তানদের বলা হয়েছে পরীক্ষা জন্য যেন খাতা দেয়া হয়। সে অনুপাতে আমরা ১৮ পৃষ্ঠা খাতা স্কুলে দিয়েছি।

তাহলে বরাদ্দের টাকা যায় কোথায় প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এরকম হয়ে থাকলে সেটাতো অনিয়ম। পৌর সদরের শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র।

সেখানেও কয়েকজন অভিভাবক এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে উপজেলা সদরের বাইরের বিদ্যালয়ের চিত্র ভিন্ন। কয়েকটি বিদ্যালয়ে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে পরীক্ষার জন্য কোন খাতা নেয়া হয়নি। তবে এক উপজেলায় দুই নিয়ম কেন? প্রশ্ন রেখেছেন কয়েকজন অভিভাবক।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহছেনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চাঁদ সুলতানা আমার দেশকে বলেন, বরাদ্দের তুলনায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় খাতা নেয়া হচ্ছে। তাও অভিভাবকদের উৎসাহ থাকায়। এটা অনিয়মে পড়ে না বলে তিনি জানান।

একই বক্তব্য শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলুয়ারা বেগমের। তিনি আমার দেশকে বলেন, সরকারি স্লিপ বরাদ্দ না আসায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে খাতা নেয়া হয়েছে। অন্য কোন অভিযোগ থাকলে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা করতে বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিত কর্মকার আমার দেশকে বলেন, সরকারী স্লিপ বরাদ্দ থাকার পরও অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। যদি শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে স্কুল কমিটি এবং অভিভাবকদের পরামর্শ নিয়ে রেজুলেশন করে খাতা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এমইউজের দোয়া

খালেদা জিয়ার করুণ অবস্থার জন্য পলাতক হাসিনা দায়ী: রিপন

সিলেটে ৬ ডিসেম্বর আট দলের বিভাগীয় সমাবেশ

৩৬ কেজি গাঁজাসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

নবাবগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ১১ বাড়ি ও ৭ গরু, নিহত ১

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রূপগঞ্জে দোয়া মাহফিল

রাতের আঁধারে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানায় একসাথে ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

ভূরুঙ্গামারীতে আট ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

খালেদা জিয়ার এই অবস্থার জন্য পলাতক হাসিনা দায়ী