হোম > সারা দেশ > রংপুর

ডাক্তার ও ওষুধ সংকটে ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল

ফজলে ইমাম বুলবুল, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল ডাক্তার ও ওষুধ সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। রোগীর ভিড়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসাসেবা নিতে হয় তাদের। এতে করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রোগীরা।

হাসপাতালের তথ্য মতে, এই হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক ৫৯ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪০ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির তিনটি পদই শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সের ৯১ জনের বিপরীতে আছে ৮৮ জন। তৃতীয় শ্রেণির পদ সংখ্যা ৪২ জন হলেও আছে ২০ জন। ২২টি পদে লোকবল নেই। চতুর্থ শ্রেণির লোকবল ২৫ জনের বিপরীতে আছেন ১৭ জন। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে মঞ্জুরিকৃত মোট পদের সংখ্যা মাত্র ২২১টি। এর মধ্যে আবার এখনো শূন্য পদ ৫৬ জন ।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তর জনপদের আশেপাশে তিন জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার শেষ আশ্রয়স্থল এই আধুনিক হাসপাতাল। কিন্তু এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার নামে চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি । শুধু তাই নয়, নোংরা পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর অবস্থা আর অব্যবস্থাপনায় রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসন বলছে জনবল সংকটে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না । এদিকে রোগীরা জানান, এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মানুষ সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২৫০ শয্যা হলেও প্রতিদিন দুই থেকে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকে ৬০০ থেকে ৮০০। রোগীর চাপে শয্যা সংকট প্রতিদিনের সমস্যা । অনেক সময় ফ্লোরেও জায়গা মেলে না। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ডাক্তার ও নার্সদের। অন্যদিকে হাসপাতালের করিডোর, বাথরুম, এমনকি রোগী ওয়ার্ড-সবখানেই নোংরা পরিবেশ।

এ হাসপাতালে জরুরি অ্যান্টিবায়োটিক, সেফট্রিয়াক্সোন, মেরোপেনেমের মতো জীবনরক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশন ডেক্সামেথাসন, ট্রানেক্সামিক অ্যাসিডও মিলছে না। থাকে না নরমাল স্যালাইন, ডিএনএসের মতো অতিপ্রয়োজনীয় স্যালাইনও বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসা নিতে আসা ফাতেমা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘স্বামী তিন দিন ধরে ভর্তি। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার মতো ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। একটা স্যালাইন পর্যন্ত নেই। ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স সাদ্দাম হোসেনও স্বীকার করেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ওষুধের সংকট চলছে।

হাসপাতালে দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে জরুরি রোগী বা বয়স্কদের সিঁড়ি বেয়ে উপরের তলায় উঠতে দেখা গেছে। এ হাসপাতালে আইসিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং পিসিআর ল্যাবের জন্য নির্ধারিত ভবন ও স্থান থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চালু হয়নি। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে যেসব পরীক্ষা করতে দেওয়া হয় তা হাসপাতালে করার সুযোগ থাকার পরও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। জরুরি ওষুধ হাসপাতালে নেই। বাহির থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে । এখানে সমস্যার কথা বললেই রোগীর কোনো প্রকার সেবা না দিয়ে রেফার্ড করা হয় রংপুর বা ঢাকায়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রমজান আলীর নাক-কান-গলার ডাক্তার দেখাতে এসে ডাক্তার না পেয়ে ফিরে যান। তিনি বলেন, হাসপাতালে যদি ডাক্তার না থাকে তাহলে আমরা কোথায় যাব। ঠিকমতো ডাক্তার পাওয়া যায় না, ওষুধগুলো বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. রকিবুল আলম (চয়ন) বলেন, রোগীর চাপ অনেক বেশি। জনবল কম, তিন জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। ২৫০ শয্যার অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় এই হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা কম। তাই এক শিফটে ২০ থেকে ২৫ জন নার্স দিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ রোগীর জন্য সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।

খালেদা জিয়ার করুণ অবস্থার জন্য পলাতক হাসিনা দায়ী: রিপন

সিলেটে ৬ ডিসেম্বর আট দলের বিভাগীয় সমাবেশ

সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ, অভিভাবকদের ক্ষোভ

৩৬ কেজি গাঁজাসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

নবাবগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ১১ বাড়ি ও ৭ গরু, নিহত ১

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রূপগঞ্জে দোয়া মাহফিল

রাতের আঁধারে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানায় একসাথে ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

ভূরুঙ্গামারীতে আট ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

খালেদা জিয়ার এই অবস্থার জন্য পলাতক হাসিনা দায়ী