ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম বলেছেন, গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার জিয়ার পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে আমার পরিবার। আমার ছোটভাই গিয়াসউদ্দিন আল মামুন দীর্ঘ সতেরো বছর জেল খেটেছেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তার মুক্তি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, আমি জিয়া পরিবারের কাছে চিরঋণী। জিয়া পরিবার আমাকে মনোনয়ন দিয়ে চিরকৃতজ্ঞ করেছেন। পাশাপাশি ৫ আগস্টের মাধ্যমে আমরা যেই স্বাধীনতা পেয়েছি তা না হলে জিয়া পরিবার এবং আমার ভাই গিয়াস উদ্দিন আল মামুন হয়ত চিরদিনের জন্যই কারাভোগ করতেন। কোনদিনই মুক্তি পেতেন না। আশা করি, জিয়া পরিবার আমার প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, আমরা ভোলার ৪টি আসনের সকল বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।
তিনি বলেন, একসময় জামায়াতে ইসলামী আমাদের সহযোগী ছিল। এখন তারা আমাদের প্রতিপক্ষ। আমাদের প্রতিপক্ষ হয়েই তারা থেমে নেই। তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। ইদানীং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি যেসকল এলাকায় জামায়াত নির্বাচন করবে না সেসকল এলাকা থেকে বহিরাগত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী এনে ভোট কেন্দ্র দখলেরও পরিকল্পনা করছে। আমি আমার নেতাকর্মীদেরকে তাদের প্রতি নজরদারির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক শফিউর রহমান কিরণ, হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, হুমায়ুন কবির সোপান, ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আল এমরান খোকন, সদস্যসচিব আজম কাজী, অ্যাডভোকেট ফরিদুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির, বিএনপি নেতা কাজী ফিরোজ আলম ও আলী আকবর পিন্টু।