কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলামকে ‘স্বৈরাচার সরকারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতা ও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকেলে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে একটি মশাল মিছিল বের হয় এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আখড়া বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা “অবৈধ মনোনয়ন, মানি না, মানবো না” এবং “জিয়ার সৈনিক এক হও, এক হও” সহ নানান স্লোগান দেন।
অন্যদিকে, একই দিন বিকেলে জেলা শহরের রথখলা থেকে মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বেও একটি প্রচারণা মিছিল বের হয়।
মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ রুহুল হোসাইন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল।
মিছিলকারীরা অভিযোগ করেন, বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম গত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আঁতাত করে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি বা তার গায়ে আঁচড়ও লাগেনি। অথচ ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্যাতিত ও নিগৃহীত নেতাদের পাশ কাটিয়ে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নেতারা এটিকে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি অবজ্ঞা এবং যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি অবিচার বলে অভিহিত করেন।
মশাল মিছিলের আগে দুপুরে জেলা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ঘোষিত প্রার্থী মাজহারুল ইসলামকে পরিবর্তনের দাবিতে মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচ প্রার্থীর যৌথ এই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হিলালী।
তিনি লিখিত বক্তব্যে দেশ, দল ও জনস্বার্থে মাজহারুল ইসলামকে বাদ দিয়ে বাকি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে শিক্ষিত, সৎ, আদর্শবান ও জনবান্ধব বিবেচনায় যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশের ৩৬টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন, যেখানে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে আসছেন।