জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের উদ্যোগে এক নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকার ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। যদি সংস্কার না হয় শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে। সেজন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি।
সরকার গণভোট দিবে বলেছে, কিন্তু পেছ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসাথে হবে। তবে এ দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচনের ফলাফল।
জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি সংস্কারের পক্ষে ভোট তাহলে শতকরা আশি ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দিবে। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ফাঁদে দিয়েছে। সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে এবং বিশ্বাসঘাতকতা করছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি।
দুর্নীতিবাজদেরকে এ দেশের মানুষ আর ভোট দিতে চায় না মন্তব্য করে ডা. তাহের আরো বলেন, দুর্নীতিকে না বলুন, দখলবাজদের না বলুন, টেন্ডারবাজদেরকে না বলুন। এ সকল দখলের চির অবসান হবে আগামী নির্বাচনে।
জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাও. আবদুল হালিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, আমেরিকার নিউইয়র্ক মুনা কনভেনশন সেন্টারের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মামুর মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।
শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে এবং জামায়াত নেতা মনির হোসাইন ও রবিউল হোসেন মিলনের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদের সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, শিবিরের কেন্দ্রীয় মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক আলা উদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শাহ মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মাও. আবদুল্লাহ আল নোমান, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. ফজলুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. এ কে এম শামসুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. একরামুল হক, ছুফুয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. কাজী শহীদুল্লাহ, গুনবতী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাও. আবদুল হাই, কালিকাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, শ্রীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা নুরুজ্জামান খোকন, শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবু তাহের প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।