হোম > ফিচার

বুয়েটে দুইদিনের বিজ্ঞান উৎসবে নানান প্রদর্শনী

প্রতিনিধি, ঢাবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনোভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বেসরকারি সংস্থা হোয়াইটবোর্ড ইনিশিয়েটিভস-এর উদ্যোগে এবং আইসিটি ডিভিশন ও এটুআই-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বুয়েট ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।

উৎসব সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, দুই দিনে অন্তত ২০ হাজার দর্শনার্থী এবং ৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেবেন। রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং, সায়েন্স অলিম্পিয়াড, গবেষণা প্রতিযোগিতা, স্কেচ টক, সেমিনার, স্টার্টআপ এক্সপো ও ইনোভেশন এক্সপোর মতো বিভিন্ন কার্যক্রম ঘিরে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো।

বাংলাদেশের ১১০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট, গবেষণা ও স্টার্টআপ প্রদর্শন করছেন। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি উৎসবকে একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে।

ইনোভেশন এক্সপোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবটিক্স, নবায়নযোগ্য শক্তি, বায়োটেকনোলজি, যানবাহন প্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে নির্বাচিত ৫০টি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং ২০টি প্রযুক্তিনির্ভর স্টার্টআপ প্রদর্শিত হচ্ছে।

হোয়াইটবোর্ড ইনিশিয়েটিভসের চেয়ারম্যান মাহির আজরফ জানান, উদ্ভাবনের এই প্ল্যাটফর্ম তরুণ উদ্ভাবকদের হাতে-কলমে তাদের আইডিয়া দেখানোর সুযোগ তৈরি করছে। এদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ ৩টি উদ্ভাবনী প্রজেক্টকে ‘শহীদ তানভীন ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে, যা শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের স্মরণে দেওয়া হবে।

উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো ডায়নামিক এক্সপেরিয়েন্স জোন, যেখানে রয়েছে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, ই-স্পোর্টস, ড্রোন পাইলটিং, বিভিন্ন সিমুলেশনসহ প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার বিস্তৃত আয়োজন। শিক্ষার্থীদের ভিড়ে সকাল থেকেই এই অংশে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

হোয়াইটবোর্ড ইনিশিয়েটিভসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আইমান আওসাফ জানান, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার ১১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিনব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে উৎসবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “রেজিস্ট্রেশন শুরুর পর অল্প সময়ের মধ্যেই অংশগ্রহণের সীমা পূর্ণ হয়ে যায়- যা তরুণদের আগ্রহের প্রমাণ।”

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় উৎসবের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এ বছরের ইনোভার্স বাংলাদেশের টাইটেল স্পন্সর সিটি ব্যাংক। এছাড়া সহ-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে এম এইচ গ্রুপ, প্রাইম ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।

উৎসবটি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, দেশের উদ্ভাবনী প্রতিভার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং, তরুণ উদ্ভাবক-গবেষক-স্টার্টআপের নেটওয়ার্কিং এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আরও আধুনিক ও উদ্ভাবননির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ইনোভার্স বাংলাদেশের মতো আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল রাবি যশোর জেলা সমিতি

ছাত্রসমাজকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষ সাধনে কাজ করছে শিবির

আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

জকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নতুন নিয়ম

ববিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে ‘লিংকার্সের’ লাইভ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ঢাবির টিএসসিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ককটেল হামলা

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইরাসমাস বৃত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির

জাবিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর