হোম > ফিচার > তথ্য-প্রযুক্তি

Veo 3 দিয়ে ভিডিও তৈরি

আরিফ বিন নজরুল

কখনো ভেবেছেন শুধু একটি বাক্য লিখে আপনি একটি সিনেমার মতো দৃশ্য তৈরি করতে পারবেন? ক্যামেরা, লাইট ও অ্যাক্টর কিছুই দরকার নেই। শুধু কল্পনা আর শব্দের জাদুতে ফুটে উঠবে জীবন্ত ভিডিও। গুগলের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি Veo 3 সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে।

Veo 3 মূলত একটি টেক্সট টু ভিডিও জেনারেশন এআই মডেল। অর্থাৎ, আপনি শুধু লিখে জানাবেন, আপনার ভিডিওতে কী থাকতে হবে। আর Veo নিজে থেকেই বানিয়ে দেবে সেই ভিডিও। ধরা যাক আপনি লিখলেন, ‘একটি সবুজ উপত্যকায় সূর্যোদয়ের সময় ধীরে ধীরে উড়ে যাচ্ছে পাখির ঝাঁক। Veo এই বর্ণনার ভিত্তিতে তৈরি করে দেবে আট সেকেন্ডের বাস্তবসম্মত দৃশ্য। শুধু দৃশ্যই নয়, এতে থাকবে ড্রোন শটের মতো ভিউ, সিনেমাটিক মোশন ব্লার, আলো-ছায়ার খেলা, এমনকি পেশাদার ক্যামেরার ঝাঁকুনিও।

এই টুলটি ব্যবহার করতে হলে এখনই সরাসরি অ্যাপ ডাউনলোডের সুযোগ নেই। তবে গুগলের VideoFX প্ল্যাটফরমে গিয়ে আগ্রহী ব্যবহারকারীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। অনুমোদন পেলে আপনি সেখানে টেক্সট প্রম্পট লিখে ভিডিও তৈরি করে দেখতে পারবেন। প্রম্পট লেখার সময় Veo বিভিন্ন দিক বোঝে। যেমন ক্যামেরার দিকনির্দেশনা, আলো ও ছায়ার ধরন, চরিত্রের আবেগ, এমনকি দৃশ্যের শৈলীত্ব (যেমন : watercolor, anime, vintage noir)।

Veo 3-এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর cinematic control। আপনি চাইলে নির্দেশ দিতে পারেন। ভিডিওটি যেন হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরা শটে হয়। অথবা ড্রোন শটে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে ওঠে। ভিডিওতে দৃশ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি সময়ের গতি (slow motion বা time lapse) ও আবহাওয়ার প্রভাবও দেখানো সম্ভব। এই মডেল 1080p রেজল্যুশন পর্যন্ত ভিডিও তৈরি করতে পারে, যা অন্যান্য ভিডিও জেনারেটর এআইয়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

এআই দিয়ে ভিডিও তৈরির এই প্রক্রিয়ায় প্রম্পট লেখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রম্পট ideally হতে পারে— ‘a realistic 4K footage of a stormy ocean with crashing waves and lightning in the distance, viewed from a cliff, in cinematic tone with high contrast lighting’। এখানে ব্যবহার হয়েছে লোকেশন, আবহাওয়া, দৃশ্যের গতি, আলোছায়া এবং শৈলী। এমন নির্দেশনাই Veo বুঝতে পারে এবং রেসপন্স দিতে পারে।

Veo এখনো সব ভাষায় পুরোপুরি কাজ করে না। তাই প্রম্পট লেখার সময় ইংরেজিই সবচেয়ে কার্যকর। এ ছাড়া Veo-এর প্রতিটি ভিডিওতেই গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক যুক্ত রাখবে, যাতে তা বিভ্রান্তিকর কিংবা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত না হয়।

এই মুহূর্তে Veo সবচেয়ে বেশি কাজে লাগছে গল্প বলার ক্ষেত্রে। ইউটিউবার, মার্কেটিং এক্সপার্ট, শিক্ষক, সাংবাদিক কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে পণ্যের প্রমোশনাল ভিডিও বানাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। একাধিক প্রম্পট দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভিডিও সিরিজও বানানো সম্ভব। ভবিষ্যতে গুগল এটির মধ্যে ইনপেইন্টিং, ভিডিও এডিটিং এবং ভিডিও থেকে ভিডিও রিফাইনের সুবিধাও যুক্ত করবে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, Veo 3 আমাদের ভিডিও নির্মাণের ধারণাকেই বদলে দিচ্ছে। কল্পনাকে দৃশ্যপটে তুলে ধরার এমন প্রযুক্তি আগে কখনো এত সহজ আর এত দ্রুত ছিল না। এখন শুধু দরকার ভালো একটি প্রম্পট আর বাকিটা Veo3 নিজেই বুঝে নেবে।

বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেলেন দুই হাজার শিক্ষার্থী

বাংলায় ইসলামের বিস্তারে কৃষি প্রধান নির্ধারক হিসেবে কাজ করেছে

নিয়োগে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ

শাকসু নির্বাচনে ‘দুর্বার সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা

ইউটিউবে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বার দেখা ভিডিও কোনটি?

এআইতে ব্যাপক বিনিয়োগ, চাকরি হারাবেন ৬ হাজার কর্মী

যেই ডিলিউশন সত্য

প্রাচীন ভারত থেকে আধুনিক দুনিয়ায়

ভূমিকম্পে করণীয় ও বর্জনীয়

হালকা শীতের পোশাক