• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> সারা দেশ
> চট্টগ্রাম

এবার ওসিকে হুমকি দিলেন বাবলাসহ একাধিক খুনের আসামি রায়হান

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৪
logo
এবার ওসিকে হুমকি দিলেন বাবলাসহ একাধিক খুনের আসামি রায়হান

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৪

বিএনপির গণসংযোগে সরওয়ার হোসেন বাবলাসহ একাধিক খুনের আসামি সন্ত্রাসী রায়হান আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবারও সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও। পালাতক অবস্থায় থাকা রায়হানের এসব পোস্টে প্রতিপক্ষকে ‘ভয়ংকর মৃত্যু’, ‘খেলা শুরু’ এবং ‘টাকার কারিশমায় মামলা’- এমন ভাষায় সহিংসতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব পোস্ট ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

গত কয়েক দিনে পরপর কয়েকটি পোস্টে রায়হান লিখেছেন, খারাপের শেষ দেখাই ছাইড়া দিমু তোমাদের। এক পোস্টে তিনি আজিজ নামে একজনের নাম ধরে লেখেন, আজিজের দালাল যারা আছে, তাদের নাম ঠিকানা ইনবক্সে দেন। বাকিটা আমি দেখে নিবো।’ তিনি দাবি করেন, কোনো তদন্ত ছাড়া টাকার বিনিময়ে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি মাসিক বান্ডেল মারতে পারি নাই তাই আমার ফিছনে বাশ দিয়েছে। এগুলো কি টাকার কারিশমা না?’

এসব পোস্ট সবগুলোর ৫ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকে লিখেন। তার ফেসবুক আইডির নাম রায়হান আলম। তার কাছের কয়েকজন এটি রায়হান আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বলে নিশ্চিত করেছেন। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামও নিশ্চিত করেছন।

প্রতিপক্ষকে সরাসরি হত্যার হুমকি রায়হানের পোস্টগুলোর সবচেয়ে আলোচিত অংশে একজন ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘তোর মৃত্যু হবে সব চাইতে ভয়ংকর। কুকুরে তোর নারিভুরী ঠেনে ঠেনে খাবে।’

এই প্রকাশ্য সহিংস হুমকি স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। আরেকটি পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে হত্যা করতে ২০ লাখ টাকা বাজেট করা হয়েছে। পাল্টা তিনি লেখেন, আমি ৩০ লক্ষ দেবো আজিজকে জীবিত দিলে হবে।’

পুলিশ বলছে-এ ধরনের মন্তব্য স্পষ্টভাবে ‘উসকানিমূলক ও হুমকিমূলক’, যা নতুন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তিনি লিখেন, ‘আমি হারাই নাই, দূর থেকে তামাশা দেখতেছি’। নিজেকে এখনো এলাকায় সক্রিয় দাবি করে রায়হান লিখেছেন, আমি হারিয়ে যাইনি তোমাদের তামাশা দেখতেছি দুর থেকে।’ তার আরেক মন্তব্যে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘মোনাফেক’ ও ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে তাদের নাম-ঠিকানা ইনবক্সে পাঠাতে বলেন। পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাসও দেন। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, এটি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের টার্গেট করার কৌশল হতে পারে।

মাদকবিরোধী সুরে শুরু, শেষে আরও হুমকি

এক পোস্টে রায়হান ৭নং ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ‘ওপেন মাদক ব্যবসা’র অভিযোগ তুলে লেখেন,

‘মাদক বিক্রি বন্ধ না করলে যেই কোনোদিন আমার সাথে দেখা হয়ে যেতে পারে।’ স্থানীয়দের ধারণা, তাঁর এই বক্তব্য মাদকবিরোধী উদ্যোগের চেয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিতই বেশি।

সবশেষে রায়হান রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘মামলা বাণিজ্য বন্ধ করুন। সঠিক তদন্ত না করে টাকার বিনিময়ে মামলা দিলে রাউজানের পরিস্থিতি আপনার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাবে।’

এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একজন পালাতক খুনের আসামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।

রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা প্রকাশ্যে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। একজন স্থানীয় বলেন,

ফেসবুকে যা লিখছে, তাতে মনে হচ্ছে বড় ধরনের কিছু ঘটাতে পারে। সবাই ভয় পায় তার নাম শুনলে। পুলিশ বলছে, রায়হানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে। তার পোস্টগুলো থেকে নতুন তথ্য মিলছে, যা তদন্তে কাজে লাগানো হচ্ছে।

ওসি মনিরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমাকেও সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া অনেক লোককেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমরা তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সান্তু বলেন, হয় পুলিশ থাকবে না হয় সন্ত্রাসী। যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। অনেককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদের আতুরার দিপুর চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে ঢুকে সরওয়ার হোসেন বাবলা খুনের প্রধান অভিযুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এই রায়হান। এছাড়া রাউজান উপজেলায় যুবদল কর্মী মো. আলমগীর ওরফে আলম, রাউজানের কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. সেলিম, রাউজান ইউনিয়নের যুবদল কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে প্রাইভেটকারে থাকা মো. বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিক (২৮) ও আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) নামে দুজনকে গুলি করে হত্যা ও ঢাকাইয়া আকবরকে হত্যায় জড়িত রয়েছে তার নাম

কে এই রায়হান

রাউজানের ৭ নম্বর রাউজান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জুরুরকুল খলিফা বাড়ির মৃত বদিউল আলমের ছেলে মো. রায়হান। চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে খুন, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, রায়হানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি হত্যা মামলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোট সাজ্জাদের বাহিনীতে রয়েছে ২৫ জন সক্রিয় সদস্য। গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বাহিনীর হাল ধরে পাঁচ সহযোগী। তাদের অন্যতম সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত রায়হান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রায়হান দ্বিতীয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতো রায়হান। স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বিএনপির সভা-সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

বিএনপির গণসংযোগে সরওয়ার হোসেন বাবলাসহ একাধিক খুনের আসামি সন্ত্রাসী রায়হান আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবারও সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও। পালাতক অবস্থায় থাকা রায়হানের এসব পোস্টে প্রতিপক্ষকে ‘ভয়ংকর মৃত্যু’, ‘খেলা শুরু’ এবং ‘টাকার কারিশমায় মামলা’- এমন ভাষায় সহিংসতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব পোস্ট ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

গত কয়েক দিনে পরপর কয়েকটি পোস্টে রায়হান লিখেছেন, খারাপের শেষ দেখাই ছাইড়া দিমু তোমাদের। এক পোস্টে তিনি আজিজ নামে একজনের নাম ধরে লেখেন, আজিজের দালাল যারা আছে, তাদের নাম ঠিকানা ইনবক্সে দেন। বাকিটা আমি দেখে নিবো।’ তিনি দাবি করেন, কোনো তদন্ত ছাড়া টাকার বিনিময়ে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি মাসিক বান্ডেল মারতে পারি নাই তাই আমার ফিছনে বাশ দিয়েছে। এগুলো কি টাকার কারিশমা না?’

বিজ্ঞাপন

এসব পোস্ট সবগুলোর ৫ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকে লিখেন। তার ফেসবুক আইডির নাম রায়হান আলম। তার কাছের কয়েকজন এটি রায়হান আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বলে নিশ্চিত করেছেন। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামও নিশ্চিত করেছন।

প্রতিপক্ষকে সরাসরি হত্যার হুমকি রায়হানের পোস্টগুলোর সবচেয়ে আলোচিত অংশে একজন ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, ‘তোর মৃত্যু হবে সব চাইতে ভয়ংকর। কুকুরে তোর নারিভুরী ঠেনে ঠেনে খাবে।’

এই প্রকাশ্য সহিংস হুমকি স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। আরেকটি পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে হত্যা করতে ২০ লাখ টাকা বাজেট করা হয়েছে। পাল্টা তিনি লেখেন, আমি ৩০ লক্ষ দেবো আজিজকে জীবিত দিলে হবে।’

পুলিশ বলছে-এ ধরনের মন্তব্য স্পষ্টভাবে ‘উসকানিমূলক ও হুমকিমূলক’, যা নতুন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তিনি লিখেন, ‘আমি হারাই নাই, দূর থেকে তামাশা দেখতেছি’। নিজেকে এখনো এলাকায় সক্রিয় দাবি করে রায়হান লিখেছেন, আমি হারিয়ে যাইনি তোমাদের তামাশা দেখতেছি দুর থেকে।’ তার আরেক মন্তব্যে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘মোনাফেক’ ও ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে তাদের নাম-ঠিকানা ইনবক্সে পাঠাতে বলেন। পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাসও দেন। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, এটি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের টার্গেট করার কৌশল হতে পারে।

মাদকবিরোধী সুরে শুরু, শেষে আরও হুমকি

এক পোস্টে রায়হান ৭নং ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ‘ওপেন মাদক ব্যবসা’র অভিযোগ তুলে লেখেন,

‘মাদক বিক্রি বন্ধ না করলে যেই কোনোদিন আমার সাথে দেখা হয়ে যেতে পারে।’ স্থানীয়দের ধারণা, তাঁর এই বক্তব্য মাদকবিরোধী উদ্যোগের চেয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিতই বেশি।

সবশেষে রায়হান রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘মামলা বাণিজ্য বন্ধ করুন। সঠিক তদন্ত না করে টাকার বিনিময়ে মামলা দিলে রাউজানের পরিস্থিতি আপনার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাবে।’

এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একজন পালাতক খুনের আসামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।

রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা প্রকাশ্যে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। একজন স্থানীয় বলেন,

ফেসবুকে যা লিখছে, তাতে মনে হচ্ছে বড় ধরনের কিছু ঘটাতে পারে। সবাই ভয় পায় তার নাম শুনলে। পুলিশ বলছে, রায়হানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে। তার পোস্টগুলো থেকে নতুন তথ্য মিলছে, যা তদন্তে কাজে লাগানো হচ্ছে।

ওসি মনিরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমাকেও সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া অনেক লোককেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমরা তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সান্তু বলেন, হয় পুলিশ থাকবে না হয় সন্ত্রাসী। যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। অনেককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদের আতুরার দিপুর চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে ঢুকে সরওয়ার হোসেন বাবলা খুনের প্রধান অভিযুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এই রায়হান। এছাড়া রাউজান উপজেলায় যুবদল কর্মী মো. আলমগীর ওরফে আলম, রাউজানের কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. সেলিম, রাউজান ইউনিয়নের যুবদল কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে প্রাইভেটকারে থাকা মো. বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিক (২৮) ও আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) নামে দুজনকে গুলি করে হত্যা ও ঢাকাইয়া আকবরকে হত্যায় জড়িত রয়েছে তার নাম

কে এই রায়হান

রাউজানের ৭ নম্বর রাউজান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জুরুরকুল খলিফা বাড়ির মৃত বদিউল আলমের ছেলে মো. রায়হান। চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে খুন, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, রায়হানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি হত্যা মামলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোট সাজ্জাদের বাহিনীতে রয়েছে ২৫ জন সক্রিয় সদস্য। গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বাহিনীর হাল ধরে পাঁচ সহযোগী। তাদের অন্যতম সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত রায়হান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রায়হান দ্বিতীয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতো রায়হান। স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বিএনপির সভা-সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশচট্টগ্রাম
সর্বশেষ
১

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ককটেল উদ্ধার

২

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

৩

যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে

৪

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

৫

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

বিএনপিতে যোগদানকারী গারো জনগোষ্ঠীকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কখনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না। তাই নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার বিশ্বাস থেকেই তারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

১৩ মিনিট আগে

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ওয়ার্ড ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) তাদের মৃত্যু হয়।

২২ মিনিট আগে

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, এনজিও সংস্থা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভাড়াবাসাগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম। কিছু স্থানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও বেশির ভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অচল অবস্থায় রয়েছে।

২৩ মিনিট আগে

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে

আগামী নির্বাচনে জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসন থেকে দলটির মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল।

২৪ মিনিট আগে
শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে