বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়া কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। এ কারণে আবারো এদেশের মানুষ তাঁকে গণতন্ত্রের মা হিসেবে উপাধি দিয়েছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নে গণসংযোগ পরবর্তী একাধিক পথ-সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তার সুযোগ্য সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এ গণতন্ত্রের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে এদেশের আম জনতা তাকে দেশনেত্রী উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে দেশ অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে প্রথমেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। এটিই হবে সরকারের প্রথম প্রকল্প। এই প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পূর্নাঙ্গ রূপে চালু হবে। তখনই চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নতকরণ কাজটি বাধ্যতামূলক হবে।
সকাল ১০টার দিকে পেকুয়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরিয়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় ৬ ষষ্ঠ দিনের মতো গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রতিটি ইউনিয়নে তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগ-কালে তাকে এক-পলক দেখার জন্য উচ্ছ্বসিত জনতার সরব উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়। আর সাধারণ মানুষও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথ-সভা গুলোতে যোগ দিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে সর্বাত্মক সমর্থন জানায়।
এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সাংসদ ও সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ,কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, চকরিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি এনামুল হক,সাধারণ সম্পাদক এম মোবারক আলীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

