
উপজেলা প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার করা খণ্ডিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আশরাফুল হক (৩৫)। তিনি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১১নং গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তীর গোপালপুর এলাকার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ আলীর দিকে তুলেছেন নিহত আশরাফুলের মা ও বাবা আব্দুর রশিদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিহতের বাড়িতে আশরাফুল হকের মা এছরা খাতুন বিলাপ করতে করতে বলেন, 'মোর ব্যাটাক জরেজ খায়া ফেলাইলো। মোর ব্যাটাক অয় নিয়ে গেইছে। টাকা আনার জন্যে।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও আদাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতেন। আশরাফুলের স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবা-মা রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলার বন্ধু মো. জরেজের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতেন আশরাফুল। কিন্তু তিন-চার বছর আগে মালয়েশিয়ায় চলে যান জরেজ। মাস তিনেক আগে দেশে ফিরে এসে তিনি এবার প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ জন্য বন্ধু আশরাফুলের কাছে তিনি টাকা ধার চেয়েছিলেন। আশরাফুল হক তাকে টাকা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে গত শনিবার আশরাফুলের বাবা আব্দুর রশিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুরের বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে বাবার সাথে দেখা করে বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় রওনা দেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আশরাফুল হকের বাবা আব্দুর রশীদ আমার দেশকে বলেন, তার ছেলে আশরাফুল হকের সাথে ছোটবেলা থেকে বন্ধুত্ব ছিল জরেজ মিয়ার। আগে তারা যৌথ ব্যবসা করলেও জরেজ মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার পর আশরাফুল একাই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। কিছু দিন আগে জরেজ বিদেশ থেকে ফিরে এসে এবার জাপান যেতে চাচ্ছিল।
আব্দুর রশিদ বলেন, জরেজ আমাকে বলেছে জাপান যাওয়ার জন্য অনেক টাকা লাগবে। এ জন্য আশরাফুল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমার সাথে দেখা করে আমার ছেলে বলে বাবা ঢাকায় যাচ্ছি। এ সময় রাতে যেতে নিষেধ করলে আশরাফুল বলেন সমস্যা নেই। আমার জন্য দোয়া করেন। পরে তার বন্ধু জরেজসহ ঢাকায় চলে যান ওই দিনেই।
এদিকে ঢাকা যাওয়ার পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবারই মোবাইল ফোন বেজে কেটে যায়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, ফোন রিসিভ না করায় বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে খোঁজ নেয়ার জন্য জরেজের বাড়িতে যান আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম। এ সময় লাকী বেগমকে জরেজের স্ত্রী বলেন, টেনশন করিও না। তারা দুজন তো একসাথে আছে। পরে আশরাফুল হকের স্ত্রী তার স্বামীর নাম্বারে আবারো ফোন দিলে জরেজ ফোন রিসিভ করে বলেন, 'ফোন আমার কাছে রেখে আশরাফুল বাইরে গেছে। কিন্তু সে কোথায় আমি জানি না।'
এর কয়েক ঘণ্টা পরই জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে শাহবাগ থানার পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা ছবির মাধ্যমে মরদেহটি আশরাফুলের বলে শনাক্ত করেন।
এদিকে নিহত আশরাফুলের বাড়িতে আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ। বাড়িতে ভিড় করছেন নিহতের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার মানুষ।

ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার করা খণ্ডিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আশরাফুল হক (৩৫)। তিনি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১১নং গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তীর গোপালপুর এলাকার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ আলীর দিকে তুলেছেন নিহত আশরাফুলের মা ও বাবা আব্দুর রশিদ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিহতের বাড়িতে আশরাফুল হকের মা এছরা খাতুন বিলাপ করতে করতে বলেন, 'মোর ব্যাটাক জরেজ খায়া ফেলাইলো। মোর ব্যাটাক অয় নিয়ে গেইছে। টাকা আনার জন্যে।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও আদাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতেন। আশরাফুলের স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবা-মা রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলার বন্ধু মো. জরেজের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতেন আশরাফুল। কিন্তু তিন-চার বছর আগে মালয়েশিয়ায় চলে যান জরেজ। মাস তিনেক আগে দেশে ফিরে এসে তিনি এবার প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ জন্য বন্ধু আশরাফুলের কাছে তিনি টাকা ধার চেয়েছিলেন। আশরাফুল হক তাকে টাকা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে গত শনিবার আশরাফুলের বাবা আব্দুর রশিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুরের বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে বাবার সাথে দেখা করে বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় রওনা দেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আশরাফুল হকের বাবা আব্দুর রশীদ আমার দেশকে বলেন, তার ছেলে আশরাফুল হকের সাথে ছোটবেলা থেকে বন্ধুত্ব ছিল জরেজ মিয়ার। আগে তারা যৌথ ব্যবসা করলেও জরেজ মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার পর আশরাফুল একাই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। কিছু দিন আগে জরেজ বিদেশ থেকে ফিরে এসে এবার জাপান যেতে চাচ্ছিল।
আব্দুর রশিদ বলেন, জরেজ আমাকে বলেছে জাপান যাওয়ার জন্য অনেক টাকা লাগবে। এ জন্য আশরাফুল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমার সাথে দেখা করে আমার ছেলে বলে বাবা ঢাকায় যাচ্ছি। এ সময় রাতে যেতে নিষেধ করলে আশরাফুল বলেন সমস্যা নেই। আমার জন্য দোয়া করেন। পরে তার বন্ধু জরেজসহ ঢাকায় চলে যান ওই দিনেই।
এদিকে ঢাকা যাওয়ার পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবারই মোবাইল ফোন বেজে কেটে যায়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, ফোন রিসিভ না করায় বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে খোঁজ নেয়ার জন্য জরেজের বাড়িতে যান আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম। এ সময় লাকী বেগমকে জরেজের স্ত্রী বলেন, টেনশন করিও না। তারা দুজন তো একসাথে আছে। পরে আশরাফুল হকের স্ত্রী তার স্বামীর নাম্বারে আবারো ফোন দিলে জরেজ ফোন রিসিভ করে বলেন, 'ফোন আমার কাছে রেখে আশরাফুল বাইরে গেছে। কিন্তু সে কোথায় আমি জানি না।'
এর কয়েক ঘণ্টা পরই জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে শাহবাগ থানার পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা ছবির মাধ্যমে মরদেহটি আশরাফুলের বলে শনাক্ত করেন।
এদিকে নিহত আশরাফুলের বাড়িতে আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ। বাড়িতে ভিড় করছেন নিহতের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার মানুষ।

যেকোনো প্রয়োজনে বিএনপি যেমন জনগণের পাশে থাকে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সুদিন এবং দুর্দিনে পাশে থাকবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
৩১ মিনিট আগে
ভ্যানচালক আবদুল মমিনকে নতুন টিনশেড ঘর উপহার দিয়েছে স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশন। শুক্রবার সংগঠনটির আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী সাতঘড়িয়া গ্রামের অসহায় পরিবারটি ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার কঠোর ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ফতুল্লা থানা বিএনপি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার ঐতিহাসিক ডিআইটি মাঠে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসকরা বলছেন, ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে তাওসিফ রহমানের (১৬) শরীরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালি কেটে গেছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে