• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> সারা দেশ
> রংপুর

ড্রামে লাশ: জরেজের দাবি ‘অপরিচিত একজন মোবাইলটি দিয়েছিল’

উপজেলা প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৪
logo
ড্রামে লাশ: জরেজের দাবি ‘অপরিচিত একজন মোবাইলটি দিয়েছিল’

উপজেলা প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৪

ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে রংপুরের বদরগঞ্জের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারে অভিযুক্ত নিহতের বন্ধু জরেজকে সন্দেহ করা হলেও তার দাবি ভিন্ন।

গেল মঙ্গলবার রাতে বন্ধু জরেজকে সাথে নিয়ে ঢাকায় যান ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুঠোফোনে জরেজের সাথে আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনা খাতুনের কথোপকথন কথা হয়। ৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের সেই ফোনালাপ আমার দেশের হাতে এসেছে।

ফোনালাপে জরেজ দাবি করেছেন, আশরাফুল তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে যে বাসায় রেখে বের হয়ে গিয়েছিলেন। পরে ওই বাসায় অপরিচিত একজন ব্যক্তি এসে আশরাফুলের কথা বলে তাকে গাবতলীতে ডেকে নিয়েছেন। সেখানে আশরাফুলের মোবাইল ফোনটি দিয়ে ওই ব্যক্তি চলে যান। নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ ঘণিভুত হয়।

নিহত ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনার স্বামী মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে জরেজের সাথে তার স্ত্রীর কথা হয়।

মোবাইল ফোনে কথোপকথনের শুরুতে আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনা ফোনে আর্তনাদের সুরে জরেজকে বলেন, ‘এ ভাই এ ভাই.......'

তখন জরেজ বলেন, ‘বইন তোরা যেগুলো কথা মোক শুনেইছেন। তোমার ভাইয়ের গোপালপুরোত আমি ছাড়া কেউ কাম করত না।’

আবারও রাহেনা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এ ভাই আমার ভাইওক ধরি আইসো ভাই, কোটে আছে ধরি আইসো ভাই।

এ সময় জরেজ উত্তর দেন, ‘আমি ক্যাম্নে কমু রে ভাই। এখন যে মোবাইলটা দিছে সে যে কিছু একটা আমাকে পাঠাবে তাও পাইতেছি না।’

রাহেনা আবারো জরেজকে বলেন, কোথায় আছে ভাই। ভাইট্যাক ধরি আইসো ভাই।

তখন জরেজ উত্তর দেন, আমার জীবনে তোমরা আমাকে কথাগুলো কইনেন, কোনদিন আর কেউ কয় নাই। তা কন সমস্যা নাই।

তখন রাহেনা বলেন, একসাথে যে গেইছেন ভাই।

এসময় জরেজ বলেন, একসাথে তো গেছি তোমরা কইনেন আমি নিয়ে গেছি। আচ্ছা আমি তোমার ভাইয়ের কাজ করি না তোমার ভাই আমার কাজ করে।

তখন রাহেনা বলেন,না ভাই আমি তো সেইটা বলি নাই। একসাথে গেইছেন একবার কওছেন ডাস্টবিনত বোলে ফোন কুড়ি পাইছেন, আরেকবার কওছেন মানুষে তোমাক দিয়া গেইছে ফোন।

তখন জরেজ বলেন, এই সেটা (মোবাইল ফোন) ধরি যাওয়াটাই দোষ আমার, আমি অস্বীকার যাবো এইটাই ভালো। আমি সেটটা (মোবাইল ফোন) যখন পাইছি তখন কিন্তু খুলি (সুইচ অন) ফেলাছি, কথা বোঝেন। আমি তো আর না খুলে রাখি নাই। একটা লোক সিআইডি হিসেবে কায় কাকে ধরিল, কি করিল না করিল আমি তো ভাই জানি না।

এ সময় জরেজ রাহেনাকে বলেন, ‘অয় (আশরাফুল) আমাক যেখানে রাখি গেছিল সেখানে ছিলাম। সেখানে ওই বাসায় ওই রুমে ছিলাম। একজন আসি আমার ডাক দিল দিয়ে জিজ্ঞেস করতেছে তুমি আশরাফুলকে চেনো, তখন বললাম হ্যাঁ আমি চিনি।

তখন বলল আসো তখন জিজ্ঞেস করলাম আশরাফুল কোথায়? তখন বলল আচ্ছা আসো, গাবতলীতে আসো। গেলাম গিয়ে প্রথমে আমাকে চেক করছে। আমার কাছে টাকা পয়সা আছে কি নাই সেটা চেক করছে। আমার কাছে টাকা পয়সা নাই আমি কাজ করি আমার কাছে টাকা থাকবে কই থাইকা। পরে আশরাফুলের ফোনটা আমার কাছে দিল।ওরা দেখে দিছে ফোনটা কোথায়, ওরা পাশে থেকে ফোন দিছে সেটাও না। বলছে যে ‘চাম্পার টঙ’ আছে ওই টঙটাতে গিয়ে দেখেন। ওখান থেকে আমি নিয়ে (মোবাইল ফোন) আইলাম।’

জরেজ বলেন, তোমার ভাইয়ের নাম্বার আমার কাছে দুইটা। দুইটার একটাতেও আমার সাথে ও চারটার পর একবার ওরই মোবাইল দিয়ে কথা বলছি আমি ওর বউয়ের সাথে। তারপর থেকে তার সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আমাকে যে কয়া (বলে) গেল থাকিস আমি আসতেছি। সেই লোকটা নাই তো নাই। যাই হোক আমি বাড়ি যাইতেছি কি কন (বলবেন) কন আলা।

এ সময়ের রাহেনা জিজ্ঞেস করেন, কোন জায়গায় আছেন ভাই। তখন পাশের একজনের কাছে শুনে জরেজ জানায় সায়েদাবাদ আছেন।

রাহেনা আবার জিজ্ঞেস করেন বাসে আছেন?

তখন জরেজ বলেন, বাসে এখনো উঠি নাই টিকিট কাটছি।

তখন রাহেনা তাকে জিজ্ঞেস করেন, যে লোকটা আপনাকে মোবাইলটা দিলো সে লোকটাকে আপনি চেনেন না?

তখন জরেজ উত্তর দেন, ‘নারে বইন ঢাকার লোককে আমরা চিনব। এখন সে লোক ভালো না খারাপ, আমি কি জানবো কন তো।

তখন রাহেনা বলেন, দুইজন একসাথে গেইনেন একজন আইসেন আরেকজন.....

তখন জরেজ বলেন,ও আশরাফুলের কথা বলল এজন্য আমি কিন্তু তার সাথে গেছি।মানে কোন প্রবলেম বা বিপদ হইছে নাকি। না,যায়া ও এইরকম কথাবার্তা কইল আর সেটটা (মোবাইল ফোন) আমাকে দিল। এখন আমি ওর বন্ধু আমি কি সেটটা নেবোনা।

রাহেনা বলেন, হ্যাঁ ভাই কিন্তু আপনি ওই জায়গায় আছেন ও (অপরিচিত লোক) ফির কিভাবে জানল?

তখন জরেজ বলেন, ‘আরে আশরাফুল যদি তাদের কাছে জিম্মি হয়, আশরাফুল যদি না বলে ওই লোক কি আমাক খুঁজি পাবে আমি কোথায় আছি।’

রাহেনা প্রশ্ন করেন, উনি যে ফোনটা দিলো ভাই তা আপনি কিছু বলেন নাই ভাই যে যায় ফোন.....

এসময় জরেজ বলেন, ‘আমাকে ফোনও দেয় নাই। উনি সরাসরি আমার গেটে আসি ডাক দিছে। আমি তো আশরাফুলকে ফোন দিতে দিতে পাগল, আমি তো ওকে পাইতেছি না। আমি খাব কি, কি করমু আমি, নিজে দিশা পাইতেছি না। আমি তো তার কাজ করি বোঝেন নাই। এখন যখন আশরাফুলের কথা বলল তখন আমি বের হয়ে আসলাম। যে আশরাফুলকে আপনি চেনেন? হ্যাঁ আমি চিনি আশরাফুল আমার ভাই হয়। তখন ও বলতেছে আপনি আসেন, আমাকে নিয়ে গেল। নিয়ে যায়া আশরাফুল আছে কোথায় সেটা দেখাইলো না। আশরাফুলের সাথে আমার কথাও বলা হইল না শুধু ওর সেটটা দিলো।তার সাথে যদি তার শত্রুতা হইবে তাহলে আমি কি তোমাকে বলতাম যে সেটটা (মোবাইল ফোন) আমার কাছে দিলো। আমার কি কথাটা বলা দোষ। লেংটাকাল থেকে একসাথে ঘুরি আমরা।

তখন রাহেনা বলেন, ঘোরেন তো ঠিক আছে ভাই। একসাথে তো গেইছেন এটাই সমস্যা।একসাথে গেছেন কিন্তু দু’জনের একজন আইসেন আর একজন কোথায় গেইছে জানাজানি নাই এটা কেমন কথা।

জরেজ বলেন, একসাথে রিকশায় ছিলাম আমরা। ওর দু’টা মোবাইল না? ও একটাতে কার সাথে যেন কথা বলতেছে। আর ওই ফোনটা আমার হাতে, ছোট ফোনটা। তখন ওই ফোনটা আমি রিসিভ করলাম। তখন ওর বউ কথা বলছে তাও আমি চিনি নাই। তখন আশরাফুল কইতেছে বল যে চিটাগাং আসছি টাকা তোলাইতে। কিন্ত ওয়তো তখন চিটাগং যায় নাই।

তখন রাহেনা বলেন, আচ্ছা ভাই ঠিক আছে।

জরেজ বলেন, আচ্ছা বাসায় যাই বাসায় গিয়ে কথা বলব।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের শিকার আশরাফুল হক রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও আদাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানী করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতেন। আশরাফুলের স্ত্রী, দু’সন্তান এবং বাবা-মা রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলার বন্ধু জরেজের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতেন আশরাফুল। কিন্ত তিন-চার বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান জরেজ। মাস খানেক আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তার পর থেকে আশরাফুলের সাথেই সারাক্ষণ থাকতেন।

তারা জানান, জরেজ এবার জাপান যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য বন্ধু আশরাফুলের কাছ থেকে তিনি টাকা ধার চেয়েছিলেন। আশরাফুল হকও তাকে টাকা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।

এরই মধ্যে গত শনিবার আশরাফুলের বাবা আব্দুর রশিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে বাবার সাথে দেখা করে বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

এদিকে ছেলের হত্যার খবর পেয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তীর তার বন্ধু জরেজের দিকে তুলেছেন আশরাফুলের মা এছরা খাতুন।

নিহতের বাড়ীতে আশরাফুল হকের মা এছরা খাতুন বিলাপ করতে করতে বলেন, 'মোর ব্যাটাক জরেজ খায়া ফেলাইলো। মোর ব্যাটাক অয় নিয়ে গেছে। টাকা আনার জন্য জরেজ মোর ব্যাটাক নিয়ে গেইছে।'

নিহত আশরাফুল হকের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, জরেজ আমাকে বলেছে যে জাপান যাওয়ার জন্য অনেক টাকা লাগবে এজন্য আশরাফুল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমার সাথে দেখা করে আমার ছেলে বলে বাবা ঢাকায় যাচ্ছি। এসময় রাতে যেতে নিষেধ করলে আশরাফুল বলেন সমস্যা নেই আমার জন্য দোয়া করেন। পরে তার বন্ধু জরেজসহ ঢাকায় যান।

এদিকে ঢাকায় যাওয়ার পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে আশরাফুল হকের স্ত্রী বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবারই মোবাইল ফোন বেজে কেটে যায়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, ফোন রিসিভ না করায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে খোঁজখবর নেয়ার জন্য জরেজের বাড়িতে যান আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম। এ সময় লাকী বেগমকে জরেজের স্ত্রী বলেন টেনশন করিও না তারা দু’জন তো একসাথে আছে। পরে আশরাফুল হকের স্ত্রী তার স্বামীর নাম্বারে আবারো ফোন দিলে জরেজ ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘ফোন আমার কাছে রেখে আশরাফুল বাইরে গেছে, কিন্তু সে কোথায় আমি জানি না।’

এর কয়েক ঘণ্টা পরই জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে মরদেহটি আশরাফুলের বলে শনাক্ত করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে জরেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, নিহত আশরাফুল হকের পরিবারের সদস্যদেরকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য রমনা জোনের ডিসি ও শাহবাগ থানার ওসিকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, নিহত আশরাফুলের একজন বড় বোন ঢাকায় থাকেন। এছাড়া বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর ভাই ঢাকায় যাবেন। দু’জনের মধ্যে যে কেউ মামলা করতে পারেন।

এদিকে ব‍্যবসায়ী আশরাফুলের হত‍্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা তার পরিবারের সদস‍্য, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার মানুষ বাগরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন; সবার কান্নায় শোকাবহ হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে রংপুরের বদরগঞ্জের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারে অভিযুক্ত নিহতের বন্ধু জরেজকে সন্দেহ করা হলেও তার দাবি ভিন্ন।

বিজ্ঞাপন

গেল মঙ্গলবার রাতে বন্ধু জরেজকে সাথে নিয়ে ঢাকায় যান ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুঠোফোনে জরেজের সাথে আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনা খাতুনের কথোপকথন কথা হয়। ৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের সেই ফোনালাপ আমার দেশের হাতে এসেছে।

ফোনালাপে জরেজ দাবি করেছেন, আশরাফুল তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে যে বাসায় রেখে বের হয়ে গিয়েছিলেন। পরে ওই বাসায় অপরিচিত একজন ব্যক্তি এসে আশরাফুলের কথা বলে তাকে গাবতলীতে ডেকে নিয়েছেন। সেখানে আশরাফুলের মোবাইল ফোনটি দিয়ে ওই ব্যক্তি চলে যান। নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ ঘণিভুত হয়।

নিহত ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনার স্বামী মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে জরেজের সাথে তার স্ত্রীর কথা হয়।

মোবাইল ফোনে কথোপকথনের শুরুতে আশরাফুল হকের ছোট বোন রাহেনা ফোনে আর্তনাদের সুরে জরেজকে বলেন, ‘এ ভাই এ ভাই.......'

তখন জরেজ বলেন, ‘বইন তোরা যেগুলো কথা মোক শুনেইছেন। তোমার ভাইয়ের গোপালপুরোত আমি ছাড়া কেউ কাম করত না।’

আবারও রাহেনা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এ ভাই আমার ভাইওক ধরি আইসো ভাই, কোটে আছে ধরি আইসো ভাই।

এ সময় জরেজ উত্তর দেন, ‘আমি ক্যাম্নে কমু রে ভাই। এখন যে মোবাইলটা দিছে সে যে কিছু একটা আমাকে পাঠাবে তাও পাইতেছি না।’

রাহেনা আবারো জরেজকে বলেন, কোথায় আছে ভাই। ভাইট্যাক ধরি আইসো ভাই।

তখন জরেজ উত্তর দেন, আমার জীবনে তোমরা আমাকে কথাগুলো কইনেন, কোনদিন আর কেউ কয় নাই। তা কন সমস্যা নাই।

তখন রাহেনা বলেন, একসাথে যে গেইছেন ভাই।

এসময় জরেজ বলেন, একসাথে তো গেছি তোমরা কইনেন আমি নিয়ে গেছি। আচ্ছা আমি তোমার ভাইয়ের কাজ করি না তোমার ভাই আমার কাজ করে।

তখন রাহেনা বলেন,না ভাই আমি তো সেইটা বলি নাই। একসাথে গেইছেন একবার কওছেন ডাস্টবিনত বোলে ফোন কুড়ি পাইছেন, আরেকবার কওছেন মানুষে তোমাক দিয়া গেইছে ফোন।

তখন জরেজ বলেন, এই সেটা (মোবাইল ফোন) ধরি যাওয়াটাই দোষ আমার, আমি অস্বীকার যাবো এইটাই ভালো। আমি সেটটা (মোবাইল ফোন) যখন পাইছি তখন কিন্তু খুলি (সুইচ অন) ফেলাছি, কথা বোঝেন। আমি তো আর না খুলে রাখি নাই। একটা লোক সিআইডি হিসেবে কায় কাকে ধরিল, কি করিল না করিল আমি তো ভাই জানি না।

এ সময় জরেজ রাহেনাকে বলেন, ‘অয় (আশরাফুল) আমাক যেখানে রাখি গেছিল সেখানে ছিলাম। সেখানে ওই বাসায় ওই রুমে ছিলাম। একজন আসি আমার ডাক দিল দিয়ে জিজ্ঞেস করতেছে তুমি আশরাফুলকে চেনো, তখন বললাম হ্যাঁ আমি চিনি।

তখন বলল আসো তখন জিজ্ঞেস করলাম আশরাফুল কোথায়? তখন বলল আচ্ছা আসো, গাবতলীতে আসো। গেলাম গিয়ে প্রথমে আমাকে চেক করছে। আমার কাছে টাকা পয়সা আছে কি নাই সেটা চেক করছে। আমার কাছে টাকা পয়সা নাই আমি কাজ করি আমার কাছে টাকা থাকবে কই থাইকা। পরে আশরাফুলের ফোনটা আমার কাছে দিল।ওরা দেখে দিছে ফোনটা কোথায়, ওরা পাশে থেকে ফোন দিছে সেটাও না। বলছে যে ‘চাম্পার টঙ’ আছে ওই টঙটাতে গিয়ে দেখেন। ওখান থেকে আমি নিয়ে (মোবাইল ফোন) আইলাম।’

জরেজ বলেন, তোমার ভাইয়ের নাম্বার আমার কাছে দুইটা। দুইটার একটাতেও আমার সাথে ও চারটার পর একবার ওরই মোবাইল দিয়ে কথা বলছি আমি ওর বউয়ের সাথে। তারপর থেকে তার সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আমাকে যে কয়া (বলে) গেল থাকিস আমি আসতেছি। সেই লোকটা নাই তো নাই। যাই হোক আমি বাড়ি যাইতেছি কি কন (বলবেন) কন আলা।

এ সময়ের রাহেনা জিজ্ঞেস করেন, কোন জায়গায় আছেন ভাই। তখন পাশের একজনের কাছে শুনে জরেজ জানায় সায়েদাবাদ আছেন।

রাহেনা আবার জিজ্ঞেস করেন বাসে আছেন?

তখন জরেজ বলেন, বাসে এখনো উঠি নাই টিকিট কাটছি।

তখন রাহেনা তাকে জিজ্ঞেস করেন, যে লোকটা আপনাকে মোবাইলটা দিলো সে লোকটাকে আপনি চেনেন না?

তখন জরেজ উত্তর দেন, ‘নারে বইন ঢাকার লোককে আমরা চিনব। এখন সে লোক ভালো না খারাপ, আমি কি জানবো কন তো।

তখন রাহেনা বলেন, দুইজন একসাথে গেইনেন একজন আইসেন আরেকজন.....

তখন জরেজ বলেন,ও আশরাফুলের কথা বলল এজন্য আমি কিন্তু তার সাথে গেছি।মানে কোন প্রবলেম বা বিপদ হইছে নাকি। না,যায়া ও এইরকম কথাবার্তা কইল আর সেটটা (মোবাইল ফোন) আমাকে দিল। এখন আমি ওর বন্ধু আমি কি সেটটা নেবোনা।

রাহেনা বলেন, হ্যাঁ ভাই কিন্তু আপনি ওই জায়গায় আছেন ও (অপরিচিত লোক) ফির কিভাবে জানল?

তখন জরেজ বলেন, ‘আরে আশরাফুল যদি তাদের কাছে জিম্মি হয়, আশরাফুল যদি না বলে ওই লোক কি আমাক খুঁজি পাবে আমি কোথায় আছি।’

রাহেনা প্রশ্ন করেন, উনি যে ফোনটা দিলো ভাই তা আপনি কিছু বলেন নাই ভাই যে যায় ফোন.....

এসময় জরেজ বলেন, ‘আমাকে ফোনও দেয় নাই। উনি সরাসরি আমার গেটে আসি ডাক দিছে। আমি তো আশরাফুলকে ফোন দিতে দিতে পাগল, আমি তো ওকে পাইতেছি না। আমি খাব কি, কি করমু আমি, নিজে দিশা পাইতেছি না। আমি তো তার কাজ করি বোঝেন নাই। এখন যখন আশরাফুলের কথা বলল তখন আমি বের হয়ে আসলাম। যে আশরাফুলকে আপনি চেনেন? হ্যাঁ আমি চিনি আশরাফুল আমার ভাই হয়। তখন ও বলতেছে আপনি আসেন, আমাকে নিয়ে গেল। নিয়ে যায়া আশরাফুল আছে কোথায় সেটা দেখাইলো না। আশরাফুলের সাথে আমার কথাও বলা হইল না শুধু ওর সেটটা দিলো।তার সাথে যদি তার শত্রুতা হইবে তাহলে আমি কি তোমাকে বলতাম যে সেটটা (মোবাইল ফোন) আমার কাছে দিলো। আমার কি কথাটা বলা দোষ। লেংটাকাল থেকে একসাথে ঘুরি আমরা।

তখন রাহেনা বলেন, ঘোরেন তো ঠিক আছে ভাই। একসাথে তো গেইছেন এটাই সমস্যা।একসাথে গেছেন কিন্তু দু’জনের একজন আইসেন আর একজন কোথায় গেইছে জানাজানি নাই এটা কেমন কথা।

জরেজ বলেন, একসাথে রিকশায় ছিলাম আমরা। ওর দু’টা মোবাইল না? ও একটাতে কার সাথে যেন কথা বলতেছে। আর ওই ফোনটা আমার হাতে, ছোট ফোনটা। তখন ওই ফোনটা আমি রিসিভ করলাম। তখন ওর বউ কথা বলছে তাও আমি চিনি নাই। তখন আশরাফুল কইতেছে বল যে চিটাগাং আসছি টাকা তোলাইতে। কিন্ত ওয়তো তখন চিটাগং যায় নাই।

তখন রাহেনা বলেন, আচ্ছা ভাই ঠিক আছে।

জরেজ বলেন, আচ্ছা বাসায় যাই বাসায় গিয়ে কথা বলব।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের শিকার আশরাফুল হক রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও আদাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানী করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতেন। আশরাফুলের স্ত্রী, দু’সন্তান এবং বাবা-মা রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলার বন্ধু জরেজের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতেন আশরাফুল। কিন্ত তিন-চার বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান জরেজ। মাস খানেক আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তার পর থেকে আশরাফুলের সাথেই সারাক্ষণ থাকতেন।

তারা জানান, জরেজ এবার জাপান যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য বন্ধু আশরাফুলের কাছ থেকে তিনি টাকা ধার চেয়েছিলেন। আশরাফুল হকও তাকে টাকা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।

এরই মধ্যে গত শনিবার আশরাফুলের বাবা আব্দুর রশিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে বাবার সাথে দেখা করে বন্ধু জরেজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

এদিকে ছেলের হত্যার খবর পেয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তীর তার বন্ধু জরেজের দিকে তুলেছেন আশরাফুলের মা এছরা খাতুন।

নিহতের বাড়ীতে আশরাফুল হকের মা এছরা খাতুন বিলাপ করতে করতে বলেন, 'মোর ব্যাটাক জরেজ খায়া ফেলাইলো। মোর ব্যাটাক অয় নিয়ে গেছে। টাকা আনার জন্য জরেজ মোর ব্যাটাক নিয়ে গেইছে।'

নিহত আশরাফুল হকের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, জরেজ আমাকে বলেছে যে জাপান যাওয়ার জন্য অনেক টাকা লাগবে এজন্য আশরাফুল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমার সাথে দেখা করে আমার ছেলে বলে বাবা ঢাকায় যাচ্ছি। এসময় রাতে যেতে নিষেধ করলে আশরাফুল বলেন সমস্যা নেই আমার জন্য দোয়া করেন। পরে তার বন্ধু জরেজসহ ঢাকায় যান।

এদিকে ঢাকায় যাওয়ার পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে আশরাফুল হকের স্ত্রী বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিবারই মোবাইল ফোন বেজে কেটে যায়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, ফোন রিসিভ না করায় বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে খোঁজখবর নেয়ার জন্য জরেজের বাড়িতে যান আশরাফুল হকের স্ত্রী লাকি বেগম। এ সময় লাকী বেগমকে জরেজের স্ত্রী বলেন টেনশন করিও না তারা দু’জন তো একসাথে আছে। পরে আশরাফুল হকের স্ত্রী তার স্বামীর নাম্বারে আবারো ফোন দিলে জরেজ ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘ফোন আমার কাছে রেখে আশরাফুল বাইরে গেছে, কিন্তু সে কোথায় আমি জানি না।’

এর কয়েক ঘণ্টা পরই জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামের ভেতর থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে মরদেহটি আশরাফুলের বলে শনাক্ত করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে জরেজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, নিহত আশরাফুল হকের পরিবারের সদস্যদেরকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য রমনা জোনের ডিসি ও শাহবাগ থানার ওসিকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, নিহত আশরাফুলের একজন বড় বোন ঢাকায় থাকেন। এছাড়া বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর ভাই ঢাকায় যাবেন। দু’জনের মধ্যে যে কেউ মামলা করতে পারেন।

এদিকে ব‍্যবসায়ী আশরাফুলের হত‍্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা তার পরিবারের সদস‍্য, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও আশপাশের এলাকার মানুষ বাগরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন; সবার কান্নায় শোকাবহ হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

নিহতআমার দেশরংপুরবদরগঞ্জ
সর্বশেষ
১

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ককটেল উদ্ধার

২

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

৩

যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে

৪

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

৫

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

বিএনপিতে যোগদানকারী গারো জনগোষ্ঠীকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কখনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না। তাই নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার বিশ্বাস থেকেই তারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

১৪ মিনিট আগে

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ওয়ার্ড ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) তাদের মৃত্যু হয়।

২৩ মিনিট আগে

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, এনজিও সংস্থা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভাড়াবাসাগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম। কিছু স্থানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও বেশির ভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অচল অবস্থায় রয়েছে।

২৩ মিনিট আগে

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে

আগামী নির্বাচনে জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসন থেকে দলটির মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল।

২৪ মিনিট আগে
শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

শ্রীপুরে পাঁচ শতাধিক গারো জনগোষ্ঠীর বিএনপিতে যোগদান

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

রামেক হাসপাতালে দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

উখিয়ায় অফিস-দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম, বিপর্যয়ের আশঙ্কা

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে

জনগণের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে