বড়াইগ্রামে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত

উপজেলা প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১৭: ৫২

বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রওশন আলম শেখ (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত রওশন আলম উপজেলার দিঘইর গ্রামের মৃত জুরান শেখের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে।

জানা যায়, জোনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম এবং উপজেলা সৈনিক লীগের সম্পাদক ও জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে সোহেল রানা পুটুর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার পুটুর চাচাতো ভাই ফরহাদ আরিফকে সামনে পেয়ে গালমন্দ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কর্মী রওশন আলম শেখ (৬৫) সহ অন্যরা দিঘইর বটতলা মোড়ে স্টলে বসেছিলেন। এ সময় পুটুর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। পরে তারা প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রওশনসহ সাতজন আহত হন। তবে পুটুর লোকেরা আহতদের প্রায় দুই ঘণ্টা একটি বাড়িতে আটকে রেখে হাসপাতালে নিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।

পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রওশন আলমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, 'ইউপি নির্বাচনে পুটুর বাবার পক্ষ কাজ না করায় তারা আমাদের সঙ্গে বিরোধ করে আসছিল। বুধবার চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে।'

সোহেল রানা পুটু বলেন, 'সেদিন রাতে তারাই হামলা করে আমাদের তিনজনকে আহত করে। পরে আমার লোকজন আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।'

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষেই মামলা হয়েছে, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন মারা যাওয়ায় এখন আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।'

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত