গোশত সমিতির উদ্যোগ, রোজার ঈদে কোরবানির আমেজ

উপজেলা প্রতিনিধি, গোদাগাড়ী (রাজশাহী)
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩: ৪৭
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৪: ০৫

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাড়ায় পাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশত সমিতি। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে গরু কিনেন। এতে ঈদের আগে থেকেই এর আমেজ শুরু হয়।

গোদাগাড়ী উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় কয়েকজন মিলে সমিতি গড়ে ঈদের আগে গরুর গোশত কেনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু গোদাগাডী নয়, আশপাশের উপজেলায়ও এই সমিতির সদস্যরা মাসিক ভিত্তিতে বছরজুড়ে চাঁদা দেন। এরপর ঈদের কয়েক দিন আগে জমা হওয়া অর্থ দিয়ে গরু কিনে মাংস সবাই ভাগ করে নেন।

এই উদ্যোগে ওই এলাকার অসচ্ছল পরিবারগুলো ঈদে বাড়তি আনন্দ পায়। তাদের ওপর আর্থিক চাপও কমে যায়। পাড়া বা মহল্লায় সমিতিগুলো ‘গোশত সমিতি’ নামে পরিচিত।

‘গোশত সমিতি’র সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম বা মহল্লায় ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এ ধরনের গোশত সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির মেয়াদ এক বছর। সমিতির অন্তর্ভুক্ত সদস্যরা মাসে মাসে সমিতিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখেন। বছর শেষে ঈদের আগে জমাকৃত অর্থ দিয়ে গরু কেনা হয়। ঈদের দু-চারদিন আগে এসব গরু জবাই করে গোশত সমিতির সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয়। এতে ঈদ উদযাপন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে আনন্দময় হয়ে ওঠে।

মূলত পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সমিতি গঠন করা হয়। প্রতিটি মাংস সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০। সদস্যরা মাসে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা চাঁদা দেন। জমা টাকায় ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরু কিনে জবাই করা হয়।

সাগরপাড়া গ্রামের জিয়াউল মাস্টার বলেন, তাদের সমিতিতে ৪০ জন সদস্য। তারা মাসে ৩০০ টাকা করে জমা রাখেন। বছর ঘুরে সমিতিতে জমা হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে গরু কিনে সদস্যদের মধ্যে মাংস ভাগ করে দেয়া হয়। প্রত্যেকে পাঁচ কেজির বেশি মাংস পেয়েছি।

জিয়াউল আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের এখানে গরুর মাংস সাড়ে ৭৭০ টাকা কেজি। আমরা সমিতির মাধ্যমে যে গরু কিনি, সেটার মাংস সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পড়ে।

শুরুতে নিম্নবিত্তের মানুষ এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্তরাও সদস্য হচ্ছেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এ ধরনের সমিতি করেছেন।

গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিশালবাড়ি বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, ‘ঈদুল ফিতরে আমরা যে মাংস বিক্রির টার্গেট করেছি, সেটি হয়তো পূর্ণ হবে না। কারণ অধিকাংশ পাড়ামহল্লায় মাংস সমিতি গড়ে উঠেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত