ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি, সাড়ে ৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ১১: ৩৫
ঝড়ে ঝরে পড়া আম

আধা ঘণ্টার ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গোমস্তাপুর উপজেলায় গাছ থেকে ঝরে পড়েছে প্রচুর পরিপক্ব আম। কয়েক দিন পরেই এসব আম বাজারে উঠতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গাছ থেকে ঝরে পড়া পরিপক্ব এসব আম বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমচাষিরা।

শনিবার বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার জাতাহারা, রহনপুর, জামতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বস্তায় ভরে ভ্যান ও বিভিন্ন যানবাহনে আম বিক্রি করতে আসছেন চাষিরা। রাস্তায় বসে এসব আম সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে কিনছেন ব্যবসায়ীরা। এসব আম যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।

গোমস্তাপুর উপজেলার আমচাষি আজিম আলি বলেন, শনিবার রাতে এই উপজেলায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এতে গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতসহ ঝরে পড়েছে বিপুল পরিমাণ আম। তবে এখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার বসেনি। সেক্ষেত্রে এসব আম বিক্রি করতে পারছি না। এ জন্য স্থানীয়ভাবে এসব আম বিক্রি করতে হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে। কয়েক দিন পরেই এসব আম বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে।

স্থানীয় আমচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে ঝরে যাওয়া আম কেউ কিনে নিতে চায় না। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে এসব আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। আমরা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

জাতাহারা এলাকার আমচাষি আব্দুল আলিম বলেন, এক সপ্তাহ পরই বাজারে এসব আম পেড়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু গতকালের ঝড়ে অর্ধেকের বেশি আম পড়ে গেছে। এসব আম দেড়শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। ঝরে পড়ে যাওয়ায় এসব আম এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, শুক্রবার ও শনিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে আমের ক্ষতি হয়েছে। গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এসব আম কম দামে বিক্রি হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে মৌসুমি আমের বাগান রয়েছে। চলতি বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত