উপজেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)
লিচুর রাজধানীখ্যাত পাবনার ঈশ্বরদীতে ফলন বিপর্যয়ের কারণে এবারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বোম্বাই লিচু। এবার অধিকাংশ গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা বেশি আসায় ফলনে ধস নেমেছে। ৩,১০০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে ১২ হাজার ৩৬০টি। গাছ রয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার। মুকুল পরিপূর্ণ প্রতি গাছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার লিচু ধরে।
উপজেলার ছলিমপুর, সাহাপুর, পাকশী, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় শত শত বাগান রয়েছে। সবচেয়ে বেশি লিচু বাগান রয়েছে ছলিমপুর ও সাহাপুর ইউনিয়নে। ঈশ্বরদীতে মোজাফফর (দেশী) ও বোম্বাই জাতের লিচুর আবাদ হয় বেশি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে গত বছর ৩০ হাজার মেট্রিক টন লিচুর ফলন হয়েছিল। বিক্রয় মূল্য ছিল ৩৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরও আগের বছর লিচু উৎপাদন হয় ২৭ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। বাজার মূল্য ছিল সাড়ে ৪১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবারে ভিন্ন চিত্র। জলবায়ুর প্রভাবে পরাগায়ণ না হওয়ায় মুকুল কম আসে। এবারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। গতবছরের চেয়ে ১০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কম। এবারে লিচুর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
জলবায়ুর প্রভাব ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফেব্রুয়ারির শেষে মুকুল আসার প্রাক্কালে হঠাৎ অসময়ে বৃষ্টিতে গাছে মুকুল বের না হয়ে বেশিরভাগে গাছে নতুন কচি পাতা। এ কারণে লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ ও লিচু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ঈশ্বরদীতে বাণিজ্যিকভাবে লিচুচাষির সংখ্যা ২১ হাজার। ছোট-বড় বাগান ও বাড়ির আঙিনায় লিচু গাছ রয়েছে। লিচুর পরিচর্যা, বিপণন ও বাণিজ্যিককরণসহ আরও প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ লিচু সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত। কাাজ না থাকায় কিন্তু এবারে তারা হতাশ বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৮ মে) শিমুলতলা মোকামের আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, ৬-৭ দিনের মধ্যে যা লিচু আছে তা শেষ হবে। অন্যান্য বছরে ৪০০- ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে লিচু কেনা-বেচা হলেও এবারে ধ্বস নেমেছে।
ভালোমানের প্রতি হাজার বোম্বাই লিচু ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতা মোহন শেখ বলেন, এবার লিচু কম হয়েছে। হাট ও বাগান থেকে ৪,০০০ টাকা হাজার দরে লিচু কেনা-বেচা হচ্ছে। খুচরায় একশত লিচু ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।
ছলিমপুরের চাষি ও লিচু ব্যবসায়ী সাইদার মল্লিক তিন শতাধিক লিচু গাছ নিয়ে সাতটি বাগান কিনেছিলেন। ৩০-৩৫ শতাংশ গাছে মুকুল আসে। খরায় ঝরে গেছে। প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লোকসানের আশংকা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, গাছে এবারে কম মুকুল এসেছে। মুকুল আসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বৃষ্টি হয়। অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় মুকুলের পরিবর্তে অধিকাংশ গাছে নতুন কচি পাতা আসে। একারণে ফলন বিপর্যয় হয়েছে।
লিচুর রাজধানীখ্যাত পাবনার ঈশ্বরদীতে ফলন বিপর্যয়ের কারণে এবারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বোম্বাই লিচু। এবার অধিকাংশ গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা বেশি আসায় ফলনে ধস নেমেছে। ৩,১০০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে ১২ হাজার ৩৬০টি। গাছ রয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার। মুকুল পরিপূর্ণ প্রতি গাছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার লিচু ধরে।
উপজেলার ছলিমপুর, সাহাপুর, পাকশী, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় শত শত বাগান রয়েছে। সবচেয়ে বেশি লিচু বাগান রয়েছে ছলিমপুর ও সাহাপুর ইউনিয়নে। ঈশ্বরদীতে মোজাফফর (দেশী) ও বোম্বাই জাতের লিচুর আবাদ হয় বেশি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে গত বছর ৩০ হাজার মেট্রিক টন লিচুর ফলন হয়েছিল। বিক্রয় মূল্য ছিল ৩৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরও আগের বছর লিচু উৎপাদন হয় ২৭ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। বাজার মূল্য ছিল সাড়ে ৪১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবারে ভিন্ন চিত্র। জলবায়ুর প্রভাবে পরাগায়ণ না হওয়ায় মুকুল কম আসে। এবারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। গতবছরের চেয়ে ১০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কম। এবারে লিচুর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
জলবায়ুর প্রভাব ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফেব্রুয়ারির শেষে মুকুল আসার প্রাক্কালে হঠাৎ অসময়ে বৃষ্টিতে গাছে মুকুল বের না হয়ে বেশিরভাগে গাছে নতুন কচি পাতা। এ কারণে লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ ও লিচু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ঈশ্বরদীতে বাণিজ্যিকভাবে লিচুচাষির সংখ্যা ২১ হাজার। ছোট-বড় বাগান ও বাড়ির আঙিনায় লিচু গাছ রয়েছে। লিচুর পরিচর্যা, বিপণন ও বাণিজ্যিককরণসহ আরও প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ লিচু সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত। কাাজ না থাকায় কিন্তু এবারে তারা হতাশ বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৮ মে) শিমুলতলা মোকামের আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, ৬-৭ দিনের মধ্যে যা লিচু আছে তা শেষ হবে। অন্যান্য বছরে ৪০০- ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে লিচু কেনা-বেচা হলেও এবারে ধ্বস নেমেছে।
ভালোমানের প্রতি হাজার বোম্বাই লিচু ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতা মোহন শেখ বলেন, এবার লিচু কম হয়েছে। হাট ও বাগান থেকে ৪,০০০ টাকা হাজার দরে লিচু কেনা-বেচা হচ্ছে। খুচরায় একশত লিচু ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।
ছলিমপুরের চাষি ও লিচু ব্যবসায়ী সাইদার মল্লিক তিন শতাধিক লিচু গাছ নিয়ে সাতটি বাগান কিনেছিলেন। ৩০-৩৫ শতাংশ গাছে মুকুল আসে। খরায় ঝরে গেছে। প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লোকসানের আশংকা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, গাছে এবারে কম মুকুল এসেছে। মুকুল আসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বৃষ্টি হয়। অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় মুকুলের পরিবর্তে অধিকাংশ গাছে নতুন কচি পাতা আসে। একারণে ফলন বিপর্যয় হয়েছে।