স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় আদালত পুলিশের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তুফান হত্যা, মাদক, ধর্ষণ ও ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।
সোমবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবী সহকারী। ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে তাড়াহুড়া করে তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার পরিবারের সদস্যরা সটকে পড়ার চেষ্টা করেন এসময় তাদের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। দুপুরের মধ্যেই কারাগার থেকে আনা সকল হাজতিকে প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতে সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার আমার দেশকে বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএস
বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় আদালত পুলিশের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তুফান হত্যা, মাদক, ধর্ষণ ও ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।
সোমবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবী সহকারী। ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে তাড়াহুড়া করে তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার পরিবারের সদস্যরা সটকে পড়ার চেষ্টা করেন এসময় তাদের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। দুপুরের মধ্যেই কারাগার থেকে আনা সকল হাজতিকে প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতে সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার আমার দেশকে বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএস