চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ)
উপজেলা প্রতিনিধি, (শিবগঞ্জ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসন বিএনপির ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত। এ আসনে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেদের আসন ধরে রাখতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। এ আসনে প্রার্থী হতে চান দলটির দুই হেভিওয়েট নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, অপরজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত। দুজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আমির ড. কেরামত আলী। তিনিও বসে নেই। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন।
সীমান্তঘেঁষা এ আসনে টানা ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অন্যায়-অত্যাচারে এলাকার রাজনীতিতে যারা কোণঠাসা ও মামলা-মোকদ্দমায় বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর সে আসনে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের এখন সরব উপস্থিতি। সময়-সুযোগ পেলেই করছেন গণসংযোগ, সভা-সেমিনার, উঠান বৈঠক, পথসভা ও সমাবেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি।
ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনি এলাকা ছিল গণসংযোগে পরিপূর্ণ। ঈদের ছুটিতে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে গণসংযোগ করেন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঈদুল আজহায় গণসংযোগ ছাড়াও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়, শুভেচ্ছাবিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে নিজেকে জানান দেন তারা। গ্রাম ও পাড়া-মহল্লা বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়। ঈদুল আজহার ছুটিতে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ ও সভা-সেমিনার ছিল চোখে পড়ার মতো। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকায় নির্বাচনি উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনের এমপি হয়েছিলেন বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানী। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। বর্তমানে তারা পলাতক।
বিএনপি থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা। অপরজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত। তাদের বাড়ি এই উপজেলায় হওয়ায় প্রার্থিতা নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত স্থানীয় বিএনপি।
ঈদুল আজহার সময় এই দুই নেতা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। তারা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। চষে বেড়াচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে।
এদিকে উপজেলা বিএনপির একটি অংশ চায় সাবেক হুইপ ও বিএনপির প্রবীণ নেতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞাকে প্রার্থী করা হোক। তাদের যুক্তি, বিএনপি পরিবার হিসেবে আগে থেকেই রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে তার।
আসনটিতে ২০১৮ সালে অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট ডাকাতির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নিয়মিত এলাকায় আছেন। স্থানীয় নেতারাও সাংগঠনিক কাজ করছেন তার সঙ্গে। পাড়া-মহল্লায় রয়েছে শাহজাহান মিঞার নিজস্ব ভোটব্যাংক।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আরেক অংশ মনে করে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত প্রার্থী হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এ ছাড়া দলের দুঃসময়ে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা-মোকদ্দমা থেকে রেহাই পেতে সহযোগিতা করেছেন এবং দলের দুঃসময়ে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
উপজেলা বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক বলেন, এ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ কোনোদিনই এ আসন থেকে জিততে পারত না। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে এ আসন দখলে নেয়। এখানে বিএনপি থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, তিনিই জয়ী হবেন।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আমির ড. কেরামত আলী জয়ী হতে বেশ জোরালোভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি এর আগে দুই মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন তিনি।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের দাবি, পতিত হাসিনার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে তাদের দলের নেতাকর্মীরা। এতে তাদের যেমন জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভোটব্যাংকও।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনএফ, এলডিপি, জাসদ ও গণফোরাম থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। এমনকি তাদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমও দেখা যাচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসন বিএনপির ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত। এ আসনে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেদের আসন ধরে রাখতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। এ আসনে প্রার্থী হতে চান দলটির দুই হেভিওয়েট নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, অপরজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত। দুজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আমির ড. কেরামত আলী। তিনিও বসে নেই। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন।
সীমান্তঘেঁষা এ আসনে টানা ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অন্যায়-অত্যাচারে এলাকার রাজনীতিতে যারা কোণঠাসা ও মামলা-মোকদ্দমায় বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর সে আসনে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের এখন সরব উপস্থিতি। সময়-সুযোগ পেলেই করছেন গণসংযোগ, সভা-সেমিনার, উঠান বৈঠক, পথসভা ও সমাবেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি।
ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনি এলাকা ছিল গণসংযোগে পরিপূর্ণ। ঈদের ছুটিতে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে গণসংযোগ করেন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঈদুল আজহায় গণসংযোগ ছাড়াও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়, শুভেচ্ছাবিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে নিজেকে জানান দেন তারা। গ্রাম ও পাড়া-মহল্লা বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়। ঈদুল আজহার ছুটিতে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ ও সভা-সেমিনার ছিল চোখে পড়ার মতো। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকায় নির্বাচনি উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনের এমপি হয়েছিলেন বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানী। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। বর্তমানে তারা পলাতক।
বিএনপি থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা। অপরজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত। তাদের বাড়ি এই উপজেলায় হওয়ায় প্রার্থিতা নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত স্থানীয় বিএনপি।
ঈদুল আজহার সময় এই দুই নেতা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। তারা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। চষে বেড়াচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে।
এদিকে উপজেলা বিএনপির একটি অংশ চায় সাবেক হুইপ ও বিএনপির প্রবীণ নেতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞাকে প্রার্থী করা হোক। তাদের যুক্তি, বিএনপি পরিবার হিসেবে আগে থেকেই রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে তার।
আসনটিতে ২০১৮ সালে অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট ডাকাতির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নিয়মিত এলাকায় আছেন। স্থানীয় নেতারাও সাংগঠনিক কাজ করছেন তার সঙ্গে। পাড়া-মহল্লায় রয়েছে শাহজাহান মিঞার নিজস্ব ভোটব্যাংক।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আরেক অংশ মনে করে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত প্রার্থী হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এ ছাড়া দলের দুঃসময়ে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা-মোকদ্দমা থেকে রেহাই পেতে সহযোগিতা করেছেন এবং দলের দুঃসময়ে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
উপজেলা বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক বলেন, এ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ কোনোদিনই এ আসন থেকে জিততে পারত না। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে এ আসন দখলে নেয়। এখানে বিএনপি থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, তিনিই জয়ী হবেন।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আমির ড. কেরামত আলী জয়ী হতে বেশ জোরালোভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি এর আগে দুই মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন তিনি।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের দাবি, পতিত হাসিনার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে তাদের দলের নেতাকর্মীরা। এতে তাদের যেমন জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভোটব্যাংকও।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনএফ, এলডিপি, জাসদ ও গণফোরাম থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি। এমনকি তাদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমও দেখা যাচ্ছে না।