ওহিদুল ইসলাম সোহেল, ঈশ্বরদী (পাবনা)
রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে সঙ্গে থাকা খালাতো ভাইকে নিয়ে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে ছুটে যান কলেজ ছাত্র হাফিজুর রহমান হাফিজ। তার মোবাইলে তোলা ছবিতে ভাঙা রেললাইন দেখে তাৎক্ষণিক সিগনাল ডেঞ্জার করে দেন স্টেশন মাস্টার। কিছুক্ষণের মধ্যে থেমে যায় দ্রুতগতির ধুমকেতু এক্সপ্রেস। প্রাণে বেঁচে যান হাজারো যাত্রী।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড়াল ব্রিজ স্টেশন অতিক্রম করে পাবনার ভাঙ্গুরা স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছালে রেললাইনে সাত ইঞ্চি ভাঙা অংশ দেখা যায়। এই ফাটলের দিকেই নজর পড়ে হাফিজের।
রাজশাহী সরকারি পদ্মা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফিজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার দক্ষিণ সারুটিয়া গ্রামে নানা আবুল হাশেমের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সকালবেলা খালাতো ভাই সাকিব হাসানকে (এসএসসি পরীক্ষার্থী) সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ ভাঙা রেললাইন চোখে পড়ে তাদের। দেরি না করে ছবি তুলে দৌঁড়ে যান স্টেশন মাস্টারের কক্ষে।
ভাঙ্গুরা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র দু’জন এসে মোবাইলে ছবিটা দেখায়। তৎক্ষণাৎ সবুজ সিগনাল বন্ধ করে লাল ডেঞ্জার সিগনাল দেই। ওই সময়ই ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনে ছিল। সিগনাল দেখে চালক সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন।’
তিনি আরো জানান, সকাল ১০টা ২ মিনিটে ট্রেনটির ভাঙ্গুরা স্টেশন অতিক্রম করার কথা ছিল। ছাত্ররা ঠিক সকাল ১০টায় খবর দেন। মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী চালক (লোকো মাস্টার) এম এ হোসেন বলেন, ‘স্টেশন থেকে বড়াল ব্রিজ পার হওয়ার পরও সবকিছু ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল। কিন্তু স্টেশনের আউটার সিগন্যাল হঠাৎ লাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দিই। পরে স্টেশন মাস্টার ফোনে জানান, রেললাইন ভেঙে গেছে।’
পরিস্থিতি বুঝে কর্তৃপক্ষ দ্রুত রেল বিভাগের প্রকৌশলীদের খবর দেন। প্রায় ৪০ মিনিট মেরামত কাজ শেষে ধীরগতিতে ট্রেনটি ভাঙা অংশ পার হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. লিয়াকত আলীর ফোন রিসিভ করেননি।
পাকশী রেলওয়ের কন্ট্রোলার আল আমিন হোসেন বলেন, ‘স্টেশন মাস্টার আমাদের জানালে আমরা বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত করি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।’
রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে সঙ্গে থাকা খালাতো ভাইকে নিয়ে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে ছুটে যান কলেজ ছাত্র হাফিজুর রহমান হাফিজ। তার মোবাইলে তোলা ছবিতে ভাঙা রেললাইন দেখে তাৎক্ষণিক সিগনাল ডেঞ্জার করে দেন স্টেশন মাস্টার। কিছুক্ষণের মধ্যে থেমে যায় দ্রুতগতির ধুমকেতু এক্সপ্রেস। প্রাণে বেঁচে যান হাজারো যাত্রী।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড়াল ব্রিজ স্টেশন অতিক্রম করে পাবনার ভাঙ্গুরা স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছালে রেললাইনে সাত ইঞ্চি ভাঙা অংশ দেখা যায়। এই ফাটলের দিকেই নজর পড়ে হাফিজের।
রাজশাহী সরকারি পদ্মা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফিজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার দক্ষিণ সারুটিয়া গ্রামে নানা আবুল হাশেমের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সকালবেলা খালাতো ভাই সাকিব হাসানকে (এসএসসি পরীক্ষার্থী) সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ ভাঙা রেললাইন চোখে পড়ে তাদের। দেরি না করে ছবি তুলে দৌঁড়ে যান স্টেশন মাস্টারের কক্ষে।
ভাঙ্গুরা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র দু’জন এসে মোবাইলে ছবিটা দেখায়। তৎক্ষণাৎ সবুজ সিগনাল বন্ধ করে লাল ডেঞ্জার সিগনাল দেই। ওই সময়ই ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনে ছিল। সিগনাল দেখে চালক সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন।’
তিনি আরো জানান, সকাল ১০টা ২ মিনিটে ট্রেনটির ভাঙ্গুরা স্টেশন অতিক্রম করার কথা ছিল। ছাত্ররা ঠিক সকাল ১০টায় খবর দেন। মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী চালক (লোকো মাস্টার) এম এ হোসেন বলেন, ‘স্টেশন থেকে বড়াল ব্রিজ পার হওয়ার পরও সবকিছু ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল। কিন্তু স্টেশনের আউটার সিগন্যাল হঠাৎ লাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দিই। পরে স্টেশন মাস্টার ফোনে জানান, রেললাইন ভেঙে গেছে।’
পরিস্থিতি বুঝে কর্তৃপক্ষ দ্রুত রেল বিভাগের প্রকৌশলীদের খবর দেন। প্রায় ৪০ মিনিট মেরামত কাজ শেষে ধীরগতিতে ট্রেনটি ভাঙা অংশ পার হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. লিয়াকত আলীর ফোন রিসিভ করেননি।
পাকশী রেলওয়ের কন্ট্রোলার আল আমিন হোসেন বলেন, ‘স্টেশন মাস্টার আমাদের জানালে আমরা বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত করি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।’