বগুড়ার খায়রুল শুধু সৎ ব্যক্তিই নন, দায়িত্বশীল মানুষও

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ০২

সিএনজি চালান জীবিকার জন্য, কিন্তু মনটা গড়ে তুলেছেন একজন আদর্শবান সৎ শিক্ষার্থীর মতো। শুধু এক ব্যাগ স্বর্ণ নয়, সমাজকে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্বাস। বগুড়ার তরুণ খায়রুল ইসলাম তার সততা ও মানবিকতায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

ঘটনাটি ২৯ মার্চের। পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. শাহিন ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন। তিনি ১৮ ভরি স্বর্ণ কেনেন এবং সেই স্বর্ণ ও নগদ ১৫ হাজার টাকা একটি কালো ব্যাগে রেখে একটি সিএনজিতে ওঠেন। বনানী এলাকায় পৌঁছে হঠাৎ ‘নবীনবরণ’ বাস দেখে তাড়াহুড়ো করে তাতে উঠে পড়েন। সিএনজিতে রয়ে যায় তার কালো ব্যাগটি।

পরে শাজাহানপুরে ইফতারের বিরতিতে বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। শেষে বাড়ি ফিরে যান ভেঙে পড়া মন নিয়ে। এদিকে যিনি ব্যাগটি খুঁজে পান, তিনি শুধু একজন সিএনজিচালকই নন, সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম। দিনভর সিএনজি চালিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চালান এই তরুণ। তিনি পরিচিত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলমগীরের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে শুক্রবার রাতে সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীনের উপস্থিতিতে প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে ব্যাগটি তুলে দেন। ব্যাগে ১৮ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ হাজার টাকা ছিল একদম অক্ষত।

ব্যাগ ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত শাহিন বলেন, “আমি ভেবেছিলাম সব হারিয়ে ফেলেছি। খায়রুলের সততা আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। ওর মতো মানুষ থাকলে সমাজের সাধারণ মানুষের কোনো ভয় নেই।”

ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, “খায়রুলের মতো শিক্ষার্থীরা সমাজের আশার আলো। সে শুধু সৎ ব্যক্তিই নয়, একজন দায়িত্বশীল ও মানবিক মানুষও বটে।”

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত