রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তার বাসায় ৪-৫টি ককটেল মারা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফখারুল আলম মাসউদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, "ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোন রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি-ধমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি! তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা! এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।"
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতে এই ঘটনার পরপরই স্যার আমাকে কল দিয়েছিলেন। আমি উনাকে বাসা থেকে বের হতে না করেছিলাম। পরে পুলিশ এলে তারা বের হন। তার বাসায় অসুস্থ বাবা, ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। তারা সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে তারা সবাই সুস্থ আছে। তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আর আমরা কোনো ক্লু পেলে তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারবো।
সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ফেসবুকে লিখেছেন, "আমাদের জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্যারের বাসায় ককটেল ফাটিয়ে প্রমাণ করলো এই শহর আমাদের জন্য কতটা অনিরাপদ। স্যার আফসোস করে বলছিলেন, ছোট থেকে এখানে বেড়ে উঠলাম, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, তখনও কেউ এই সাহস পায়নি। আর এখন এই ঘটনা ঘটলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির সঙ্গে এমন হলে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইবোনের জন্য কতটা অনিরাপদ এই শহর।"
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান লিখেছেন, "তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি! ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে! গতকালই উনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের নিজ বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে! আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।"
এ বিষয়ে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারও ওপর অন্যায় আঘাত, সবার ওপর আঘাত। আমরা এই স্পিরিট ধারণ করি। প্রফেসর ইফতিখার মাসউদের বাসভবনের গেটে ককটেল ছোড়া হয়েছে- কথাটি ঠিক নয়। সরাসরি তার বাসায় ছোড়া হয়েছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। শাস্তি পেতে হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তার বাসায় ৪-৫টি ককটেল মারা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফখারুল আলম মাসউদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, "ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোন রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি-ধমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি! তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা! এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।"
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতে এই ঘটনার পরপরই স্যার আমাকে কল দিয়েছিলেন। আমি উনাকে বাসা থেকে বের হতে না করেছিলাম। পরে পুলিশ এলে তারা বের হন। তার বাসায় অসুস্থ বাবা, ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। তারা সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে তারা সবাই সুস্থ আছে। তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আর আমরা কোনো ক্লু পেলে তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারবো।
সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ফেসবুকে লিখেছেন, "আমাদের জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্যারের বাসায় ককটেল ফাটিয়ে প্রমাণ করলো এই শহর আমাদের জন্য কতটা অনিরাপদ। স্যার আফসোস করে বলছিলেন, ছোট থেকে এখানে বেড়ে উঠলাম, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, তখনও কেউ এই সাহস পায়নি। আর এখন এই ঘটনা ঘটলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির সঙ্গে এমন হলে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইবোনের জন্য কতটা অনিরাপদ এই শহর।"
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান লিখেছেন, "তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি! ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে! গতকালই উনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের নিজ বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে! আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।"
এ বিষয়ে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারও ওপর অন্যায় আঘাত, সবার ওপর আঘাত। আমরা এই স্পিরিট ধারণ করি। প্রফেসর ইফতিখার মাসউদের বাসভবনের গেটে ককটেল ছোড়া হয়েছে- কথাটি ঠিক নয়। সরাসরি তার বাসায় ছোড়া হয়েছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। শাস্তি পেতে হবে।’