উপজেলা প্রতিনিধি, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়া প্রায় শেষের দিকে। কোনো কোনো এলাকার মাঠের উঁচু জমির ধান কাঁচা থাকায় দু-একবার সেচ দিলে কৃষকের আশানুরূপ ফসল ঘরে আসত। কিন্তু সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় চুরি থেকে রক্ষা পেতে পাম্প মালিকরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, উঁচু জায়গায় কাঁচা ধানক্ষেতে সেচের অভাবে কাঙ্ক্ষিত বোরো ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, সমগ্র উপজেলা রবি ও খরিপ মৌসুমে এবার ৯ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আলু, ১০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো, ৯০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ এবং ৩০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। এসব ফসল চাষের জন্য এই উপজেলায় ৩৮৬টি গভীর নলকূপ, ২৬৭টি অগভীর নলকূপ এবং ২০টি ডিজেলচালিত সেচপাম্প চালু রাখা হয়।
ফসল উৎপাদনের সেচ সুবিধার্থে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ পর্যন্ত সেচপাম্প চালু রাখতে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সেচপাম্পের মিটার চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। গত এক সপ্তাহ থেকে ব্যাপকভাবে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ মালিকরা মিটার চোরের হাত থেকে রক্ষা পেতে সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ দিকে, কিছু কিছু উঁচু জমিতে কাঁচা ধান থাকায় ওই সব জমিতে আরো দু-একবার সেচের প্রয়োজন হলেও মিটার ও ট্রান্সফরমার চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পাম্প মালিকরা মাঠের কাঁচা ধানে সেচ না দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। এতে পরিপূর্ণ সেচের অভাবে বোরো ফলন কিছুটা কম হবে এমন আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা আকলাশ গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম বলেন, 'সেচপাম্পের মালিকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাদের স্কিমে সুষ্ঠুভাবে সেচ সরবরাহ করতে। কিছু উঁচু জমিতে আরো সেচের প্রয়োজন হলে চোরের অত্যাচারে তারা বাধ্য হচ্ছেন বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে। পরিপূর্ণ সেচের অভাবে কিছুটা বোরো ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। বৃষ্টি হলে সেচের অভাব দূর হবে বলে আশা কৃষকদের।'
উপজেলা আলমপুর গ্রামের সেচপাম্প মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'বর্তমানে যেভাবে মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে, তাতে পাম্প মালিকরা আতঙ্কে রয়েছেন। একজন মালিকের সেচপাম্পে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটলে লাভ তো দূরের কথা, ক্ষতি পোষাতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।'
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ক্ষেতলাল সাব-জোনাল অফিসের পরিচালক মাহমুদুর হাসান চৌধুরী রকেট বলেন, 'প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকা থেকে মিটার চুরির খবর পাওয়া যায়। চোরাই মিটার না নিয়ে অফিস থেকে নতুন মিটার সংগ্রহ করে পুনরায় সংযোগ নিতে গ্রাহকদের বলা হয়েছে।'
ক্ষেতলাল থানা ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, 'সেচপাম্পের মিটার, ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চোর চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। চুরি ঠেকাতে কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়া প্রায় শেষের দিকে। কোনো কোনো এলাকার মাঠের উঁচু জমির ধান কাঁচা থাকায় দু-একবার সেচ দিলে কৃষকের আশানুরূপ ফসল ঘরে আসত। কিন্তু সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় চুরি থেকে রক্ষা পেতে পাম্প মালিকরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, উঁচু জায়গায় কাঁচা ধানক্ষেতে সেচের অভাবে কাঙ্ক্ষিত বোরো ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, সমগ্র উপজেলা রবি ও খরিপ মৌসুমে এবার ৯ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আলু, ১০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো, ৯০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ এবং ৩০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। এসব ফসল চাষের জন্য এই উপজেলায় ৩৮৬টি গভীর নলকূপ, ২৬৭টি অগভীর নলকূপ এবং ২০টি ডিজেলচালিত সেচপাম্প চালু রাখা হয়।
ফসল উৎপাদনের সেচ সুবিধার্থে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ পর্যন্ত সেচপাম্প চালু রাখতে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সেচপাম্পের মিটার চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। গত এক সপ্তাহ থেকে ব্যাপকভাবে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ মালিকরা মিটার চোরের হাত থেকে রক্ষা পেতে সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ দিকে, কিছু কিছু উঁচু জমিতে কাঁচা ধান থাকায় ওই সব জমিতে আরো দু-একবার সেচের প্রয়োজন হলেও মিটার ও ট্রান্সফরমার চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পাম্প মালিকরা মাঠের কাঁচা ধানে সেচ না দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। এতে পরিপূর্ণ সেচের অভাবে বোরো ফলন কিছুটা কম হবে এমন আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা আকলাশ গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম বলেন, 'সেচপাম্পের মালিকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাদের স্কিমে সুষ্ঠুভাবে সেচ সরবরাহ করতে। কিছু উঁচু জমিতে আরো সেচের প্রয়োজন হলে চোরের অত্যাচারে তারা বাধ্য হচ্ছেন বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে। পরিপূর্ণ সেচের অভাবে কিছুটা বোরো ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। বৃষ্টি হলে সেচের অভাব দূর হবে বলে আশা কৃষকদের।'
উপজেলা আলমপুর গ্রামের সেচপাম্প মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'বর্তমানে যেভাবে মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে, তাতে পাম্প মালিকরা আতঙ্কে রয়েছেন। একজন মালিকের সেচপাম্পে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটলে লাভ তো দূরের কথা, ক্ষতি পোষাতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।'
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ক্ষেতলাল সাব-জোনাল অফিসের পরিচালক মাহমুদুর হাসান চৌধুরী রকেট বলেন, 'প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকা থেকে মিটার চুরির খবর পাওয়া যায়। চোরাই মিটার না নিয়ে অফিস থেকে নতুন মিটার সংগ্রহ করে পুনরায় সংযোগ নিতে গ্রাহকদের বলা হয়েছে।'
ক্ষেতলাল থানা ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, 'সেচপাম্পের মিটার, ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চোর চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। চুরি ঠেকাতে কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'