উপজেলা প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
বড়াইগ্রামে এক রাতে পল্লী বিদ্যুতের ১১টি শিল্প মিটার চুরি হয়েছে। শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জোনাইল বাজারে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। মাত্র ১৭ দিন আগেও উপজেলার রয়না মোড় এলাকা থেকে একই কায়দায় আরো ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাথুরিয়া এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতিকালে সাগর হোসেন (২৬) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটক সাগর উপজেলার গুরুমশৈল গ্রামের আকবর মিয়াজীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জোনাইল বাজারের আব্দুস সালাম, বেলাল হোসেন, শ্রী বিনয় পাল ও জয়নাল আবেদীন ভোলার চালকল, নাজমুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিনের একটি করে এবং শ্রী মৃণাল কান্তি ঘোষের দুটি কাঠ মিল, রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রহিমের বিস্কুট ফ্যাক্টরী এবং কামরুজ্জামান বিরাজের দুধ মিলের একটি করে মোট ১১টি মিটার চুরি হয়।
চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
জোনাইল বাজারের বেকারি মালিক রবিউল করিম বলেন, রাতে মিটার চুরি করে একটি চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে ওই নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতে বলেছে। এখন চোরের সাথে মোবাইলে দর কষাকষি চলছে।
অপর চালকল মালিক বিনয় পাল বলেন, অন্য মিটারগুলো বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘরের সঙ্গে লাগানো থাকায় দেখে রাখা যায়। কিন্তু এসব মিটার ঘর থেকে ৮০-১০০ ফুট দূরের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকায় সেগুলো চোরেরা সহজে নিয়ে যায়।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর লক্ষ্ণীকোল সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, থ্রি ফেইজের মিটারগুলো বৈদ্যুতিক খুঁটিতেই লাগানো হয়। তবে এখন আমরা চুরি ঠেকাতে খুঁটিতে খাঁচাসহ তালা পদ্ধতি চালু করছি যাতে চোরেরা মিটার চুরি করতে না পারে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তারা যে মোবাইল নম্বর দিয়েছে সেটা চৌহালী এলাকার একজন মৃত মহিলার নামে উঠানো। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
এমএস
বড়াইগ্রামে এক রাতে পল্লী বিদ্যুতের ১১টি শিল্প মিটার চুরি হয়েছে। শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জোনাইল বাজারে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। মাত্র ১৭ দিন আগেও উপজেলার রয়না মোড় এলাকা থেকে একই কায়দায় আরো ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাথুরিয়া এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতিকালে সাগর হোসেন (২৬) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটক সাগর উপজেলার গুরুমশৈল গ্রামের আকবর মিয়াজীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জোনাইল বাজারের আব্দুস সালাম, বেলাল হোসেন, শ্রী বিনয় পাল ও জয়নাল আবেদীন ভোলার চালকল, নাজমুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিনের একটি করে এবং শ্রী মৃণাল কান্তি ঘোষের দুটি কাঠ মিল, রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রহিমের বিস্কুট ফ্যাক্টরী এবং কামরুজ্জামান বিরাজের দুধ মিলের একটি করে মোট ১১টি মিটার চুরি হয়।
চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
জোনাইল বাজারের বেকারি মালিক রবিউল করিম বলেন, রাতে মিটার চুরি করে একটি চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে ওই নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতে বলেছে। এখন চোরের সাথে মোবাইলে দর কষাকষি চলছে।
অপর চালকল মালিক বিনয় পাল বলেন, অন্য মিটারগুলো বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘরের সঙ্গে লাগানো থাকায় দেখে রাখা যায়। কিন্তু এসব মিটার ঘর থেকে ৮০-১০০ ফুট দূরের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকায় সেগুলো চোরেরা সহজে নিয়ে যায়।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর লক্ষ্ণীকোল সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, থ্রি ফেইজের মিটারগুলো বৈদ্যুতিক খুঁটিতেই লাগানো হয়। তবে এখন আমরা চুরি ঠেকাতে খুঁটিতে খাঁচাসহ তালা পদ্ধতি চালু করছি যাতে চোরেরা মিটার চুরি করতে না পারে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তারা যে মোবাইল নম্বর দিয়েছে সেটা চৌহালী এলাকার একজন মৃত মহিলার নামে উঠানো। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
এমএস