ভারতের পানিতে ডুবতে চায় না বগুড়ার ৩ উপজেলার মানুষ

সবুর শাহ লোটাস, বগুড়া
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১৬: ৫১

নদীতে নতুন পানি এসেছে, বন্যার পানি বাড়ছে। এ পানি এখন আনন্দের। পরে উজান থেকে ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে বন্যায় দূর্ভোগের মাত্রা বাড়বে। যা প্রতিবছর হয় সেটি জানিয়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। তারা এই পানিতে ডোবার চিত্রের পরিবর্তন চায়। চায় নদী স্বাভাবিক গতিতে চলুক। প্রতিবছর বগুড়ার যমুনা পাড়ের সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় চিত্র এমনই। গত দুদিন এ অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, সারিয়াকান্দিতে যমুনা এবং বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ১.৬৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানিবৃদ্ধি হয়েছে এবং জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পানি এভাবে কমবেশি হতে থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

একটি তথ্যে জানা গেছে, সারয়িাকান্দি উপজেলার আয়তন ৪৩২ দশমিক ৫৫ বর্গকিলোমিটার। এখানে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৩ জন, সোনাতলা উপজেলার আয়তন ১৫৬ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার এখানে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫শ ৪৭ জন ও ধুনট উপজেলার আয়তন ২৩৯ দশমিক ১৪ র্বগ কলিোমটিার এখানে ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৯১৩ জন লোক বাস করে। তার অর্ধেকাংশই নদী পাড়ের মানুষ। এই তিনটি উপজেলায় প্রতিবছর উজানের ঢলে ফসল পানিতে ডুবে যায়।

এদিকে বাঙালি এবং যমুনা নদীতে পানিবৃদ্ধিতে দুই নদীতেই পানির স্বাভাবিক প্রবাহ চালু হয়েছে। বেশ কিছু মরে যাওয়া খালগুলোতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এবং সেখানে পানি প্রবাহ চালু হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষেরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে খুব সহজেই চলাচল করতে পারছেন। এতে তারা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব সহজেই বাজারজাত করতে পারছেন। চরাঞ্চলে পালিত কুরবানির পশুও খুব সহজেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখান থেকে দূরপাল্লার সকল ধরনের নৌকাগুলো এখন খুব সহজেই চলাচল করতে শুরু করেছে এবং একসময় বন্ধ হওয়া সকল ধরনের নৌরুটগুলো চালু হয়েছে। সারিয়াকান্দি ঘাটে সারিয়াকান্দির ব্যবসায়ী জাহিদ, ডাকাতমারা চরের বুলু মিয়া বলেন পানির স্বাভাবিক গতি থাকলে আমাদের কোন সমস্যা হয় না। এখন সামান্য পানি বৃদ্ধিতে আনন্দে আছি। এরপরে ভারত থেকে পানি ছেড়ে দিলে আমাদের কঠিন দূর্ভোগ পোহাতে হবে। যা প্রতিবছরই হয়।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দুই নদীতেই পানি স্থিতিশীল হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দুয়েকদিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে। তারপর আবারো বাড়বে। আগামী জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পানি এরকম কমবেশির মধ্যেই থাকবে। তবে জুন মাসের শেষের দিক থেকে পানি একেবারে স্থায়ীভাবে বাড়তে শুরু করবে। এ মুহুর্তে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনও সম্ভাবনা নেই।

বিষয়:

বগুড়া
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত