রফিক শাহীদ, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ শহরের মুন্সী মেহেরুল্লা সড়কের শতবছরের পুরোনো দুধের বাজার হারিয়ে যেতে বসেছে। একসময় যেখানে শতাধিক বিক্রেতার আনাগোনা ছিল, এখন সেখানে টিকে আছেন মাত্র একজন বাবলু মণ্ডল। তিনি দুধ বিক্রি বন্ধ করে দিলে এই বাজারটি হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। ঐতিহ্যের কারণে এটি পরিচিত ‘দুধ পট্টি’ হিসেবে।
একসময় এখানে কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র তৈরি হতো, তখন এটি ছিল ‘কাসাড়া পট্টি’। শহরের প্রধান ডাকঘর থাকায় একে বলা হতো পোস্ট অফিস রোড। এরপর এখানে পাইকারি মুড়ির বাজার গড়ে উঠলে নাম হয় ‘মুড়ি পট্টি’। পরে পরিচিত হয় ‘দুধ পট্টি’ হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় অনেক ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজার হারিয়ে গেছে।
৫০ বছর ধরে এই বাজারের শেষ আশার আলো হয়ে আছেন বাবলু মণ্ডল। তিনি বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে এই বাজারে আসি। তখন সকালে ও বিকালে দুবার বাজার বসত। প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্রেতা এখানে দুধ বিক্রি করতেন। অনেকেই সরাসরি দুধ বিক্রি করতে পারতেন না, আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করতাম। তখন ফ্রিজের প্রচলন ছিল না, তাই প্রতিদিন দুধ কেনার প্রয়োজন হতো। সে সময় এক সের দুধের দাম ছিল মাত্র ৫০ পয়সা।
সময় বদলেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষের জীবনধারাও বদলে গেছে। এখন প্রতিটি বাড়িতে ফ্রিজ আছে, কনফেকশনারি দোকানে সহজলভ্য দুধ পাওয়া যায়, ফলে এ বাজারের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তিনি বলেন, আমার সন্তানরা সবাই পড়াশোনা করছে, তারা এ পেশায় আসতে চায় না। আমিই হয়তো এই বাজারের শেষ বিক্রেতা।
স্বর্ণব্যবসায়ী রাধারমণ কর্মকার বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে এখানে দুধের বাজার দেখে আসছি। পাকিস্তান আমলে পৌরসভার ইন্সপেক্টররা দুধ পরীক্ষা করতেন। পানি মেশানো পেলে সেই বিক্রেতার মাথায় দুধ ঢেলে দেওয়া হতো।
এলাকার ব্যবসায়ী মঞ্জুর কাদের বলেন, এখন মানুষ প্রতিদিন দুধ কেনে না। একবারে বেশি কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে। ফলে এমন বাজারের প্রয়োজন কমে গেছে। বাবলু মণ্ডল এই বাজারের শেষ বিক্রেতা হিসেবেই থেকে যাবেন। হয়তো নতুন প্রজন্ম জানবেই না, এই রাস্তায় একসময় শতাধিক বিক্রেতা প্রতিদিন দুধ বিক্রি করতেন। আর এভাবেই একটি ঐতিহ্যের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
সিরাজগঞ্জ শহরের মুন্সী মেহেরুল্লা সড়কের শতবছরের পুরোনো দুধের বাজার হারিয়ে যেতে বসেছে। একসময় যেখানে শতাধিক বিক্রেতার আনাগোনা ছিল, এখন সেখানে টিকে আছেন মাত্র একজন বাবলু মণ্ডল। তিনি দুধ বিক্রি বন্ধ করে দিলে এই বাজারটি হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। ঐতিহ্যের কারণে এটি পরিচিত ‘দুধ পট্টি’ হিসেবে।
একসময় এখানে কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র তৈরি হতো, তখন এটি ছিল ‘কাসাড়া পট্টি’। শহরের প্রধান ডাকঘর থাকায় একে বলা হতো পোস্ট অফিস রোড। এরপর এখানে পাইকারি মুড়ির বাজার গড়ে উঠলে নাম হয় ‘মুড়ি পট্টি’। পরে পরিচিত হয় ‘দুধ পট্টি’ হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় অনেক ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজার হারিয়ে গেছে।
৫০ বছর ধরে এই বাজারের শেষ আশার আলো হয়ে আছেন বাবলু মণ্ডল। তিনি বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে এই বাজারে আসি। তখন সকালে ও বিকালে দুবার বাজার বসত। প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্রেতা এখানে দুধ বিক্রি করতেন। অনেকেই সরাসরি দুধ বিক্রি করতে পারতেন না, আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করতাম। তখন ফ্রিজের প্রচলন ছিল না, তাই প্রতিদিন দুধ কেনার প্রয়োজন হতো। সে সময় এক সের দুধের দাম ছিল মাত্র ৫০ পয়সা।
সময় বদলেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষের জীবনধারাও বদলে গেছে। এখন প্রতিটি বাড়িতে ফ্রিজ আছে, কনফেকশনারি দোকানে সহজলভ্য দুধ পাওয়া যায়, ফলে এ বাজারের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তিনি বলেন, আমার সন্তানরা সবাই পড়াশোনা করছে, তারা এ পেশায় আসতে চায় না। আমিই হয়তো এই বাজারের শেষ বিক্রেতা।
স্বর্ণব্যবসায়ী রাধারমণ কর্মকার বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে এখানে দুধের বাজার দেখে আসছি। পাকিস্তান আমলে পৌরসভার ইন্সপেক্টররা দুধ পরীক্ষা করতেন। পানি মেশানো পেলে সেই বিক্রেতার মাথায় দুধ ঢেলে দেওয়া হতো।
এলাকার ব্যবসায়ী মঞ্জুর কাদের বলেন, এখন মানুষ প্রতিদিন দুধ কেনে না। একবারে বেশি কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে। ফলে এমন বাজারের প্রয়োজন কমে গেছে। বাবলু মণ্ডল এই বাজারের শেষ বিক্রেতা হিসেবেই থেকে যাবেন। হয়তো নতুন প্রজন্ম জানবেই না, এই রাস্তায় একসময় শতাধিক বিক্রেতা প্রতিদিন দুধ বিক্রি করতেন। আর এভাবেই একটি ঐতিহ্যের পরিসমাপ্তি ঘটবে।