মঈন উদ্দিন, রাজশাহী
সারা দেশে জিআই স্বীকৃত পণ্য রয়েছে ৫৫টি। বাংলাদেশের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের দিক থেকে একটি অগ্রণী অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত রাজশাহী বিভাগ। বিভাগ হিসেবে ধরতে গেলে রাজশাহী এগিয়ে। এ বিভাগের আটটি পণ্য পেয়েছে জিআই স্বীকৃতি। রাজশাহী সিল্ক ছাড়া বাকি সাতটি খাদ্যপণ্য। এর মধ্যে রয়েছে চার জাতের আম, রাজশাহীর মিষ্টি পান, বগুড়ার দই এবং নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর (অব.) ড. এম রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক পণ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর আটটি জিআই পণ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি পণ্যই আম, যা বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে দেশের জিডিপিতেও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়, সরকারি বা বেসরকারিভাবে আম দিয়ে তৈরি হয় এমন নানাবিধ সামগ্রী প্রস্তুত ও সরবরাহ করার জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা প্রয়োজন। তবেই অধিক পরিমাণে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদনের ফলে জার্নালে প্রকাশের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মেলে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি। জিআই পণ্যের স্বীকৃতির তালিকায় রয়েছে রাজশাহী জেলার তিনটি পণ্য। একটি রাজশাহী সিল্ক ও অপরটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম এবং মিষ্টি পান।
বেশ কয়েকটি জাতের আম নিয়ে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জিআই পণ্যের তালিকায় উপরে রয়েছে। এ জেলার জিআই পণ্যগুলো হলো- খিরসাপাত, ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। তবে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে যৌথ স্বীকৃতি পেয়েছে ফজলি আম। আর বগুড়ার দই ছাড়াও জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলেছে নাটোরের কাঁচাগোল্লার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবেদন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এর পরে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় এটি। খিরসাপাত আম স্বাদে খুব মিষ্টি। ফলের খোসা সামান্য মোটা হলেও আঁটি পাতলা। সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই আম পাকা শুরু হয়।
একই বছরের ৯ মার্চ ফজলি আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। তবে ফজলি আম নিয়ে আপত্তি তোলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফলে ফজলি আম রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০২২ সালের ২৯ মে।
২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ল্যাংড়া আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় ২০২৩ সালের ৫ জুলাই।
২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে। ২০২৩ সালের ২৫ জুন আশ্বিনা আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়। অন্য সব আমগাছের সঙ্গে মুকুল আসে আশ্বিনার। তবে এ জাতের আম গাছে থাকে সাধারণত আগস্ট মাস পর্যন্ত। কিছু কিছু এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই আম পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পান, ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী সিল্ক, ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও ২০২৩ সালের ৫ জুলাই বগুড়ার দই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।
ফল গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘খাতা-কলমে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় অঞ্চল বা দেশের সমৃদ্ধির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পণ্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হয়ে থাকবে। সুতরাং সুবিধা পেতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে সরকার বা ব্যক্তিপর্যায় থেকে অধিক পরিমাণে রপ্তানির জন্য কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর চারটি আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি জিআই পণ্য হওয়ার কারণে রপ্তানি হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। অনেক আগে থেকেই রপ্তানি হচ্ছে। এখন যেসব দেশে রপ্তানি হচ্ছে না, সেখানে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নতুবা জিআই পণ্য স্বীকৃতি পাওয়া কিংবা না পাওয়ায় বিশেষ কোনো সুবিধা পাবে না রাজশাহী অঞ্চল।’
সারা দেশে জিআই স্বীকৃত পণ্য রয়েছে ৫৫টি। বাংলাদেশের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের দিক থেকে একটি অগ্রণী অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত রাজশাহী বিভাগ। বিভাগ হিসেবে ধরতে গেলে রাজশাহী এগিয়ে। এ বিভাগের আটটি পণ্য পেয়েছে জিআই স্বীকৃতি। রাজশাহী সিল্ক ছাড়া বাকি সাতটি খাদ্যপণ্য। এর মধ্যে রয়েছে চার জাতের আম, রাজশাহীর মিষ্টি পান, বগুড়ার দই এবং নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর (অব.) ড. এম রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক পণ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর আটটি জিআই পণ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি পণ্যই আম, যা বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে দেশের জিডিপিতেও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়, সরকারি বা বেসরকারিভাবে আম দিয়ে তৈরি হয় এমন নানাবিধ সামগ্রী প্রস্তুত ও সরবরাহ করার জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা প্রয়োজন। তবেই অধিক পরিমাণে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদনের ফলে জার্নালে প্রকাশের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মেলে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি। জিআই পণ্যের স্বীকৃতির তালিকায় রয়েছে রাজশাহী জেলার তিনটি পণ্য। একটি রাজশাহী সিল্ক ও অপরটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম এবং মিষ্টি পান।
বেশ কয়েকটি জাতের আম নিয়ে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জিআই পণ্যের তালিকায় উপরে রয়েছে। এ জেলার জিআই পণ্যগুলো হলো- খিরসাপাত, ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। তবে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে যৌথ স্বীকৃতি পেয়েছে ফজলি আম। আর বগুড়ার দই ছাড়াও জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলেছে নাটোরের কাঁচাগোল্লার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবেদন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এর পরে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় এটি। খিরসাপাত আম স্বাদে খুব মিষ্টি। ফলের খোসা সামান্য মোটা হলেও আঁটি পাতলা। সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই আম পাকা শুরু হয়।
একই বছরের ৯ মার্চ ফজলি আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। তবে ফজলি আম নিয়ে আপত্তি তোলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফলে ফজলি আম রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০২২ সালের ২৯ মে।
২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আমকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ল্যাংড়া আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় ২০২৩ সালের ৫ জুলাই।
২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে। ২০২৩ সালের ২৫ জুন আশ্বিনা আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়। অন্য সব আমগাছের সঙ্গে মুকুল আসে আশ্বিনার। তবে এ জাতের আম গাছে থাকে সাধারণত আগস্ট মাস পর্যন্ত। কিছু কিছু এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই আম পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পান, ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী সিল্ক, ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও ২০২৩ সালের ৫ জুলাই বগুড়ার দই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।
ফল গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘খাতা-কলমে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় অঞ্চল বা দেশের সমৃদ্ধির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পণ্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হয়ে থাকবে। সুতরাং সুবিধা পেতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে সরকার বা ব্যক্তিপর্যায় থেকে অধিক পরিমাণে রপ্তানির জন্য কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর চারটি আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি জিআই পণ্য হওয়ার কারণে রপ্তানি হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। অনেক আগে থেকেই রপ্তানি হচ্ছে। এখন যেসব দেশে রপ্তানি হচ্ছে না, সেখানে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নতুবা জিআই পণ্য স্বীকৃতি পাওয়া কিংবা না পাওয়ায় বিশেষ কোনো সুবিধা পাবে না রাজশাহী অঞ্চল।’