রাজশাহীর দুই বিএনপি নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ০৪: ৪৬

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দুজন হলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।

এদের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আর রফিকুল ইসলাম বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বুধবার জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছু দিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন মনোয়ার। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় জেলা বিএনপি। আনোয়ারুল সেই নোটিসের কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

এদিকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল তার লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। অন্যজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেয় হামলাকারীরা।

এক সেনা সদস্যের বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে পরিবারটির অভিযোগ। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। তবে পুলিশ এখনো রফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম একজন হেড মাস্টারকে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ জন্য শোকজ করা হয়েছিল। তিনি জবাব দিলেও সেটা সন্তোষজনক নয়। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর রফিকুল ইসলাম দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত