রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলীকে অপসারণের বিষয়ে রুল জারি

উপজেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১০: ২১
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প

রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ১৮ জন অপসারিত প্রকৌশলী ও কর্মকর্তার অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের কেন চাকরির পূর্ণ ধারাবাহিকতাসহ স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৯ জুন) রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীরা তাদের অপসারণ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান বরাবর যে আবেদন করেছেন তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস. এম. মাহিদুল ইসলাম সজিব।

গত ৮ মে এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের সার্ভিস আর প্রয়োজন নেই বিধায় 'নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এমপ্লোয়িস' চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা।

পাশাপাশি অব্যাহতি আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে বোর্ড অব ডিরেক্টরস, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান বরাবর গত ১২ মে আবেদন করেন তারা।

আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, স্থায়ী পদের বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর ন্যূনতম ১০ (দশ) বছর চাকরি করার বাধ্যবাধকতার অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক তারা চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তোষজনক দুই বছরের চাকরি এবং রাশিয়ার রোসাটম টেকনিক্যাল অ্যাকাডেমি থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট সম্পর্কিত তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক এবং কর্মস্থলে প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়। পরে তাদের পদোন্নতিও দেয়া হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত