মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোনও ব্যক্তি অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে, পুলিশ তাকে দেখবে, আর তাকে কিছু করবে না। ওই পুলিশ ওই থানায় থাকবে না। কোন ক্রিমিনালের তথ্য পুলিশকে দেবার পর যদি ওই অপরাধী আগে জেনে যায়, তাহলে তার পুলিশে চাকরি করার সুযোগ নেই। এটা ফৌজদারি অপরাধ। অপরাধ নির্মূলের ক্ষেত্রে যারাই বেঈমানি করবে তাদের কোনো রকম ছাড় নেই। যারা এই ক্ষেত্রে বেঈমানী করবে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, মানুষ চায় মাদক মুক্ত এটা সমাজ। বাচ্চারা মাদক যেন না পায়। আমি যদি মাদকের সাথে কম্প্রমাইজ করি, ঘরে মাদক ঢুকবেই। আমি কম্প্রমাইজ করার অর্থ হল মাদকসেবিদের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের লিয়াজো আছে। আমি ক্লিয়ার কথা বলি। এভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কারও ব্যবসা চলবে আর মাদকসেবীদের সাথে কম্প্রমাইজ করবে তার পুলিশে চাকরিতো দূরে থাক তার জায়গায় ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী হয়ে তাকে কিন্ত জেলা খানায় থাকতে হবে।
এসপি বলেন, এই টোটাল মৌলভীবাজার জেলা যার নিয়ন্ত্রণে ছিল (সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ) তাকে কিন্তু আপনাদেরই পুলিশ সুপারই ধরেছে। আর আপনাদের এখানে তো মামলা নেই। আর অন্যান্য যাদের আছে, তাদেরকেও টার্গেটে রেখেছি। আমরা কাজ করতেছি। বিগত ছয়মাসে দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় মৌলভীবাজার জেলায় স্থিতিশীল অবস্থায় বিরাজ করছে।
তিনি জানান, রোজা উপলক্ষে জেলা পুলিশ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেমন চাল, ডাল, তেল, আলু, সবজি, মাছ, মাংস, মুরগী র দাম প্রতিদিন পর্যবেক্ষণে নিচ্ছি। এসব পণ্যের দাম একেক উপজেলার সাথে তুলনা করবো। কোন জায়গায় দামে কম, কোন জায়গায় বেশি হল কোন কারণে। এ বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের মনিটরিং করবো। বিষয়টি এরকম না। যে গেলাম সকালে বাজারে গিয়ে ধুমধারাক্কা করে কয়েকটা দোকানে জরিমানা করে আসলাম আবার দাম বাড়ালো। পুলিশের পক্ষ থেকে এটাও নিশ্চিত করা হবে যাতে কোন ব্যবসায়ীকে ব্যবসা করতে গিয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে চাঁদা দিতে না হয়। তা না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।
পুলিশ সুপার জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট, জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চোরাচালানি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মলম পার্টি, মাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এসময় সাংবাদিকরা চোরাচালান, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন উপজেলার প্রেসক্লাব থেকে আগত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমল হোসেন, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ আবু হুসাইন, মৌলভীবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

