ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করেছে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল।
তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরের ছেলে। তবে দীর্ঘদিন তার গ্রামের বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এর আগে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হুমায়ুন কবির প্রায় ৩৫ বছর আগে পরিবারসহ ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকে তারা ঢাকাতেই বসবাস করছেন।
ফয়সালের জন্ম ও বেড়ে ওঠাও ঢাকায়। গ্রামের বাড়িতে তিনি কখনো আসেননি এবং এলাকাবাসীর কেউ তাকে চেনেন না। গ্রামে থাকা তাদের সব সম্পত্তিও বহু আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের।
ফয়সালের চাচি মিনারা বেগম (৫৫) বলেন, তাদের পরিবার প্রায় ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনো তাদের দেখিনি। আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও নেই। এদিকে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিষয়ে যে কোনো তথ্য পেলে তা জানাতে সবাইকে অনুরোধ করেন। তাকে গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য পুরস্কার ঘোষণাও করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার (৬৫) বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামেই চিনি। তিনি প্রায় ৩৫ বছর আগে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। এখানে এখন তাদের কোনো ঘরবাড়ি বা সম্পত্তি নেই।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে চলে গেছেন।
তবে সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

