মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো অজানা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২৬
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯

মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য বরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্তঃমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প এই কর্মশালার আয়োজন করে।

উপদেষ্টা বলেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এ জন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে, সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরো গভীরভাবে কাজ করতে।

তিনি আরও বলেন, কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্য সম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোন উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনোভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, মাছের চরিত্র অনুধাবন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কেননা সব মাছের স্বভাব-চরিত্র, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক না। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তাতো অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি পরিবেশ দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসসিএমএফপির পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী। টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এসসিএমএফপি’র ডিপিডি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম এবং এমএসপি-প্রকল্পের টিম লিডার মো. গোলাম মোস্তফা।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ইএমআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমইএফসিসি), পরিকল্পনা কমিশন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত