অত্যন্ত ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে : শিবিরের ভিপি প্রার্থী রনি

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন অভিযোগ তোলেন।

বিজ্ঞাপন

ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায়ও তেমন কোনো ভোট কাস্ট হয়নি। অর্থাৎ আড়াই ঘণ্টার মধ্যেও আমরা কোনো আপডেট পেলাম না। এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা। আমরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।

তিনি আরো বলেন, আমরা সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্রের তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম যে, খুব একটা ভোট পড়ছে না। শিক্ষার্থীরা এতো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে এসেও যদি তাঁদের মূল্যবান ভোট দিতে না পারেন, তাহলে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা জানতে পারলাম, একটি ভোট দিতে ৮-১০ মিনিট সময় লাগছে। সেখানে ব্যালট দিতে আরো সময় লাগছে ৫ মিনিট। কখন এতগুলো ভোট কাস্ট করা হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

ছাত্রশিবিরের এই ভিপি প্রার্থীর অভিযোগ, মাত্র ৩ মিনিটে হাতের কালি মুছে গিয়েছে। অথচ প্রশাসন বলেছে ১৫ দিনেও কালি ওঠবে না। তাহলে কেউ যে দুইবার ভোট দিচ্ছে না, তার কী নিশ্চয়তা।

তার অভিযোগ, সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যেসব ভোট পড়েছে, সেসব ব্যালটের প্রিজাইডিং অফিসার সাক্ষর করেননি। এমন ভোটের সংখ্যাও কম নয়। প্রশাসন ব্যালট দেওয়ার পদ্ধতি, ভোটারের সারি, শনাক্ত করা, দ্রুতগতিতে কীভাবে ব্যালট দেওয়া যায়, এসব নিয়ে আগে ভাবা উচিত ছিল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে, ভোট কাস্টও বাড়ছে। শুরুতে একটু কম ভোট পড়েছিল, এখন সেটি বাড়ছে।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত