সিরাজুদ্দৌলা আরাফাত, শেকৃবি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে নতুন ফল প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীর নাম অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য। তিনি প্যাথলজি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে ‘উপস্থিত’ দেখিয়ে পাস করানো হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত লেভেল-২ সেমিস্টারে-১ এর প্রকাশিত ফলাফলে তার নাম কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তালিকায় দেখা যায়।
এ ঘটনা জানার পর ফলাফল বিভ্রাট নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান টের পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং আহ্বান করে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য পরীক্ষায় অংশই নেননি। ফলে পূর্বে প্রকাশিত রেজাল্ট সংশোধন করে গত মাসের ২৫ তারিখ আবার প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
তবে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্যাথলজি বিভাগ ছাড়াও এমন ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগেও। লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর গোলাম সরোয়ার কায়নাত নামের এক শিক্ষার্থী টাইফয়েডে আক্রান্ত থাকার কারণে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। তবে ফলাফল প্রকাশিত হলে তিনি প্রশাসন বরাবর যোগাযোগ করে ভুল ধরিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়।
একাধিক বিভাগে এমন অনিয়মের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা।
শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্যের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান চৌধুরী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফলাফলে ডিপার্টমেন্টের একটা ভুল ছিল। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে উপাচার্য স্যার এবং বিভাগের জরুরি মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আমাদের নিকট সংশোধনীর মূল্যায়নের কাগজ পাঠানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল সংশোধন করে উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিয়ে এটি পুনরায় সংশোধিত রেজাল্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।’
কৃষি অনুষদের লেভেল-২ এর শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য বলেন, ‘আমাদের ব্যাচে রিএড (পুনঃভর্তি) এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রথম দুই ডিজিট বাদে বাকিটায় মিল থাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। অনুপস্থিত থাকার পরেও তিনি আপত্তি জানাননি কেন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি সিনিয়রদের সাথে কথা বলেছি তখন তারা বলেছে হয়তো পাস মার্কের কাছাকাছি ছিল তাই পাস করিয়ে দিয়েছে এজন্য আপত্তি জানাইনি।’
প্যাথলজি বিভাগের উক্ত কোর্সের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষের ৫টি ডিজিট একই হওয়ায় ভুলটি হয়। একটি কোর্সের দুইটি পার্ট একইসাথে ভুল হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ছয়জন কোর্স টিচার এই কোর্সের। আমি আমার পার্ট দেখে পরবর্তী শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। খাতা দেখা নিয়ে কোন গড়মিল হয়নি। শুধুমাত্র দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের মিল রয়েছে বিদায় আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়েছে। পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে এমন না।’
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে নতুন ফল প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীর নাম অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য। তিনি প্যাথলজি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে ‘উপস্থিত’ দেখিয়ে পাস করানো হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত লেভেল-২ সেমিস্টারে-১ এর প্রকাশিত ফলাফলে তার নাম কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তালিকায় দেখা যায়।
এ ঘটনা জানার পর ফলাফল বিভ্রাট নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান টের পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং আহ্বান করে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য পরীক্ষায় অংশই নেননি। ফলে পূর্বে প্রকাশিত রেজাল্ট সংশোধন করে গত মাসের ২৫ তারিখ আবার প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
তবে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্যাথলজি বিভাগ ছাড়াও এমন ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগেও। লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর গোলাম সরোয়ার কায়নাত নামের এক শিক্ষার্থী টাইফয়েডে আক্রান্ত থাকার কারণে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। তবে ফলাফল প্রকাশিত হলে তিনি প্রশাসন বরাবর যোগাযোগ করে ভুল ধরিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়।
একাধিক বিভাগে এমন অনিয়মের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা।
শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্যের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান চৌধুরী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফলাফলে ডিপার্টমেন্টের একটা ভুল ছিল। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে উপাচার্য স্যার এবং বিভাগের জরুরি মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আমাদের নিকট সংশোধনীর মূল্যায়নের কাগজ পাঠানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল সংশোধন করে উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিয়ে এটি পুনরায় সংশোধিত রেজাল্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।’
কৃষি অনুষদের লেভেল-২ এর শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য বলেন, ‘আমাদের ব্যাচে রিএড (পুনঃভর্তি) এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রথম দুই ডিজিট বাদে বাকিটায় মিল থাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। অনুপস্থিত থাকার পরেও তিনি আপত্তি জানাননি কেন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি সিনিয়রদের সাথে কথা বলেছি তখন তারা বলেছে হয়তো পাস মার্কের কাছাকাছি ছিল তাই পাস করিয়ে দিয়েছে এজন্য আপত্তি জানাইনি।’
প্যাথলজি বিভাগের উক্ত কোর্সের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষের ৫টি ডিজিট একই হওয়ায় ভুলটি হয়। একটি কোর্সের দুইটি পার্ট একইসাথে ভুল হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ছয়জন কোর্স টিচার এই কোর্সের। আমি আমার পার্ট দেখে পরবর্তী শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। খাতা দেখা নিয়ে কোন গড়মিল হয়নি। শুধুমাত্র দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের মিল রয়েছে বিদায় আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়েছে। পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে এমন না।’
ধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
১ দিন আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের নামে দুটি সুপেয় পানির ফিল্টারের স্থাপন করেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে একটির উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
১ দিন আগে