নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যায় জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৩
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৯

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিক আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হাবিবুর রহমান নামের এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী আজ শ্রমিক হত্যা করেছে, অথচ এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা বিপন্ন অবস্থায় থাকলেও তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। একইভাবে পুলিশ প্রশাসনও ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স কিংবা পাহাড়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলন দমন ও গুলি চালিয়ে হত্যার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্পষ্ট। তারা কল্পনা চাকমার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, “পাহাড়ে যা এক্সপেরিমেন্ট হয়, সমতলে তা ইমপ্লিমেন্ট হয়।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মারুফ বলেন, “সেনাবাহিনী আজ শ্রমিকদের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে খুন করেছে। অথচ একই সেনাবাহিনীকে আমরা চবি শিক্ষার্থীদের বিপন্ন অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হতে দেখেছি।

পুলিশ প্রশাসনও ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স কিংবা পাহাড়ে আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সেনাবাহিনী শ্রমিক আন্দোলন দমনে কঠোরভাবে অংশ নিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে এবং পুঁজিপতি-মালিকশ্রেণির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাহাড়ে আদিবাসীদের উচ্ছেদ ও সমতলে শ্রমিক আন্দোলন দমন তারই প্রমাণ। গত এক বছরে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার পর থেকে তারা সাধারণ মানুষের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষায় সেনাবাহিনী খুন পর্যন্ত করতে পিছপা হচ্ছে না।”

শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার বিচার এবং সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত