দুই দফা দাবিতে টানা সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি উপাচার্যসহ প্রশাসন

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০০: ৩৩
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৪২

দুই দফা দাবিতে টানা সাত ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ পুরো প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিলে তারা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন রুটিন কাজের ফাইল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সম্পূরক বৃত্তি চালু করা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের লিখিত রোডম্যাপ ঘোষণা—এই দুই দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া আপ বাংলাদেশের জবি শাখার সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের দাবি দয়া নয়, এটা অধিকার। সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি, যা দীর্ঘদিন উপেক্ষিত হয়েছে। লিখিত রোডম্যাপ না দেওয়া পর্যন্ত এই তালা আর খুলবে না।”

ইসলামি ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ বলেন, “আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। এবার প্রাণের দাবি আদায়ে অনড় থাকব।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, আমাদের দুই দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ চালু থাকবে। তারা আমাদের হয় দুই দফা দাবি মেনে নেবে, নতুবা এভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকবে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, আমরা ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ পুরো প্রশাসনিক ভবনের সবাইকে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। দেখি তারা এবার সকাল আটটা টু রাত আটটা কী অফিস করে? আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সবাই অবরুদ্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস নেই। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এ তালা আর খুলবে না।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “আমি নিজ কক্ষে অবস্থান করছি। শিক্ষার্থীরা তালা না খোলা পর্যন্ত আমরা কেউ বের হব না। সিন্ডিকেট বৈঠকের তারিখ দিয়েছি মঙ্গলবার। তবে জকসু নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা দেওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের মিথ্যা আশ্বাসও দিতে পারব না।”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসন লিখিতভাবে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলতে থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত