জুলাই আন্দোলনে আহতদের রক্ত দেওয়া কর্মীদের সম্মাননা

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১: ২১

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সহযোগিতা ও রক্তদানে অংশ নেওয়া কর্মীদের সম্মাননা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন। একই সঙ্গে আন্দোলনের স্মৃতি ও মানবিক ত্যাগের মূল্যায়নে আয়োজন করা হয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জবি ইউনিট সভাপতি উম্মে মাবুদা। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিমুল হাসান নিশাদ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ভাজাম্মুল হক, শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কেএএম রিফাত হাসান এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবীর।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংকটকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বাঁধনের মূল লক্ষ্য, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বাঁধনের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমুল হাসান নিশাদ বলেন,২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে বাঁধনকর্মীরা শুধু আন্দোলনে অংশ নেননি, আহতদের জন্য রক্তও সরবরাহ করেছেন। ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আহতদের জন্য আমরা রক্ত সংগ্রহ করেছি। আন্দোলনে সাতজন আহত হন। তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং কর্মীদের ত্যাগকে স্মরণ করতেই এ আয়োজন।

সংগঠনের সভাপতি উম্মে মাবুদা বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় আমাদের কর্মীরা যেমন মিছিলে ছিল, তেমনি আহতদের পাশে থেকেছে রক্ত দিয়ে। মানবিক সেবা দেওয়াই বাঁধনের চেতনা। আজকের স্মৃতিচারণ শুধু অতীতকে মনে করার জন্য নয়, বরং আগামীর পথচলায় আরও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুপ্রেরণা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানবতার সেবা এবং সংকটকালে আহতদের পাশে দাঁড়ানোই বাঁধনের প্রকৃত শক্তি। এ চেতনাকে ধারণ করেই বাঁধনের পথচলা চলমান থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত