শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে গেন্ডারিয়া ঢাকার যাত্রাদল বঙ্গশ্রী অপেরা মঞ্চস্থ করে যাত্রাপালা ‘লালন ফকির’। যাত্রাপালাটির পালাকার ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ এবং পরিচালনায় করেছেন মনোয়ার হোসেন খান।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোয়ার হোসেন, নিতাই মন্ডল, প্রদীপ কির্ত্তূনীয়া, জন্মেজয় বিশ্বাস, মকবুল হোসেন, পরিতোষ মণ্ডল, সুব্রত মণ্ডল, মিঠুন ইসলাম, উত্তম মণ্ডল, শামীম খন্দকার, দেবব্রত ফৌজদার, ঐন্দ্রি মণ্ডল, টুকুরানী, আল্পনা বৈরাগী, নাইচ গোলদার, করুণা বৈরাগী প্রমুখ। নেপথ্য শিল্পী ও কলা-কুশলী হিসেবে ছিলেন গোপাল মাষ্টার, ভানু, কৃষ্ণ, বলাই, রাধেশ্যাম প্রমুখ।
অজানা অজ্ঞাত এক মায়াবী আকর্ষণে লালন ছুটে চলেছে মাকে ছেড়ে, স্ত্রীর মোহ ভুলে। সংসার তাঁর কাছে তুচ্ছ এক মায়ার বাঁধন। যে বাঁধনের গণ্ডি সে ভাঙ্গতে চায়। লালন একসময় তীর্থ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন সতীর্থদের সাথে। রাস্তায় বসন্ত রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গীরা তাঁকে ফেলে চলে আসেন। নিঃসন্তান মোকছেদ-সাকিনা দম্পতির কাছে আশ্রয় হয় লালনের। আধ্যাত্মিক সাধক সিরাজ সাঁইকে গুরু মেনে শুরু হয় লালনের সঙ্গীত সাধনা-ভাব সাধনা। ব্যাথা-বেদনা, হাসি-কান্না আর সাধন মার্গের রহস্য ফুটে উঠেছে এই পালার কাহিনিতে।
এর পূর্বে বেলা ৩ টায় একই স্থানে পলাশ নরসিংদীর যাত্রাদল নিউ রাজমহল অপেরা মঞ্চায়ন করে যাত্রাপালা ‘গুনাই বিবি’। যাত্রাপালাটির পালাকার ছিলেন সুমি আক্তার এবং পরিচালনায় করেছেন উসমান গণি।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওসনাম গনি, হেকমত আলী মাষ্টার, আসাদুল্লাহ, ইয়াছিন মিয়া, হানিফ মিয়া, আশরাফুল, হোসেন মিয়া, খোরশেদ আলম, সাখাওয়াত হোসেন, আরব আলী, অনিক, সুফি আক্তার, শাহিনুর আক্তার, লাভলী আক্তার, আইরিন আক্তার প্রমুখ। নেপথ্য শিল্পী ও কলা-কুশলী হিসেবে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন সাগর ও রাহুল মিয়া।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা যাত্রা দলগুলোর অংশগ্রহণে ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে বিজয়ের মাসজুড়ে যাত্রাপালা প্রদর্শনী, প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০টা থেকে।
মাসব্যাপী এই যাত্রাপালা প্রদর্শনীতে নিবন্ধিত ৩৬টি যাত্রাদল ৩৬টি যাত্রাপালা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি যাত্রাদলের ১টিসহ ৩৭টি যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হবে। যাত্রাপালা প্রদর্শনীর টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। প্রদর্শনীর টিকিট বিক্রি হতে প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রাদলকে প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে থাকছে দেশাত্মবোধক যাত্রাগানের কনসার্ট। উল্লেখ্য, প্রতিদিনের প্রদর্শিত যাত্রাপালাগুলো জুরি বোর্ডের বিচারকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

