আমার দেশ ডেস্ক
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে উল্লেখ করে এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম। শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সভাপতি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক এবং সংগঠনের মহাসচিব ও সাবেক সচিব ড. মো. শরিফুল আলম এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘ছাত্র-জনতার সম্মিলিত সংগ্রাম ও ত্যাগে ২০২৪ সালের সফল জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর থেকে দেশের বিবদমান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য সংহত হওয়ার পরিবর্তে নানা কারণে দূর্বল হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
‘আরব বসন্তের অভিজ্ঞতা আমাদের এ ধারণা দেয় যে, বিপ্লবের পর সময়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে গণতন্ত্রের পরিবর্তে অগণতান্ত্রিক বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন আরোপিত হতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করাসহ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক শক্তিসহ আপামর জনগণের প্রতি নিম্নোক্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’
এক. জুলাই বিপ্লবের মৌলিক লক্ষ্য তথা ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সুশাসন নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
দুই. বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চ্যালেঞ্জ তথা যে কোনো ধরনের আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বেসামরিক-সামরিক প্রশাসনের সকল সদস্যকে জাতীয় স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।
তিন. দ্রুততম সময়ে জনতার ঐক্য দৃঢ় করার ভিত্তি সৃষ্টির জন্য ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ ঘোষণা করতে হবে। এ লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
চার. বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে এবং এ লক্ষ্য হাসিলে আধিপত্যবাদীসহ কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় স্বার্থে দেশের বিদ্যমান প্রশাসনিক রীতি-নীতি ও শৃঙ্খলাকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে চলতে হবে।
পাঁচ. আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বেসামরিক প্রশাসনকে দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছয়. প্রশাসনে বিদ্যমান বিগত দুঃশাসন রেজিমের পদলেহী ও হঠকারীতায় লিপ্ত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রশাসনিক শৃঙ্খলার আওতায় আনতে হবে এবং দেশপ্রেমিক ও সৎ কর্মচারীদেরকে শীর্ষ পদসমূহে পদায়ন করতে হবে।
সাত. অন্তর্বর্তী সরকারকে মৌলিক সংস্কার শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব সময়ে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
আট. আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সংস্কার অভিমুখী করার জন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহকে দ্রুত রাজনৈতিক সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
নয়. অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীকে রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টিকারী কার্যক্রম থেকে সচেতনভাবে মুক্ত থাকতে হবে।
দশ. আধিপত্যবাদী শক্তি কোনো অবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ চায় না। তাই আমাদের সর্বাবস্থায় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সংগ্রামে জাতীয় সংহতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে উল্লেখ করে এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম। শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সভাপতি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক এবং সংগঠনের মহাসচিব ও সাবেক সচিব ড. মো. শরিফুল আলম এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘ছাত্র-জনতার সম্মিলিত সংগ্রাম ও ত্যাগে ২০২৪ সালের সফল জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর থেকে দেশের বিবদমান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য সংহত হওয়ার পরিবর্তে নানা কারণে দূর্বল হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
‘আরব বসন্তের অভিজ্ঞতা আমাদের এ ধারণা দেয় যে, বিপ্লবের পর সময়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে গণতন্ত্রের পরিবর্তে অগণতান্ত্রিক বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন আরোপিত হতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করাসহ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক শক্তিসহ আপামর জনগণের প্রতি নিম্নোক্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’
এক. জুলাই বিপ্লবের মৌলিক লক্ষ্য তথা ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সুশাসন নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
দুই. বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চ্যালেঞ্জ তথা যে কোনো ধরনের আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বেসামরিক-সামরিক প্রশাসনের সকল সদস্যকে জাতীয় স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।
তিন. দ্রুততম সময়ে জনতার ঐক্য দৃঢ় করার ভিত্তি সৃষ্টির জন্য ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ ঘোষণা করতে হবে। এ লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
চার. বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে এবং এ লক্ষ্য হাসিলে আধিপত্যবাদীসহ কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় স্বার্থে দেশের বিদ্যমান প্রশাসনিক রীতি-নীতি ও শৃঙ্খলাকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে চলতে হবে।
পাঁচ. আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বেসামরিক প্রশাসনকে দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছয়. প্রশাসনে বিদ্যমান বিগত দুঃশাসন রেজিমের পদলেহী ও হঠকারীতায় লিপ্ত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রশাসনিক শৃঙ্খলার আওতায় আনতে হবে এবং দেশপ্রেমিক ও সৎ কর্মচারীদেরকে শীর্ষ পদসমূহে পদায়ন করতে হবে।
সাত. অন্তর্বর্তী সরকারকে মৌলিক সংস্কার শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব সময়ে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
আট. আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সংস্কার অভিমুখী করার জন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহকে দ্রুত রাজনৈতিক সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
নয়. অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীকে রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টিকারী কার্যক্রম থেকে সচেতনভাবে মুক্ত থাকতে হবে।
দশ. আধিপত্যবাদী শক্তি কোনো অবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ চায় না। তাই আমাদের সর্বাবস্থায় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সংগ্রামে জাতীয় সংহতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে সরকার ঘোষিত ৫৮ দিনের ‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম-২০২৫’ শেষ হয়েছে।
৬ মিনিট আগেবেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আজ সোমবার প্রকাশ হবে। ৯০ হাজারের বেশি পদের বিপরীতে এই গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
২৭ মিনিট আগেনেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। ওই বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশটি থেকে প্রথম ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসে।
২ ঘণ্টা আগেতবে যেসব বিষয়ে বেশি সেবা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে মারামারি সংক্রান্ত ৪ হাজার ১০২টি, বিভিন্ন কারণে কাউকে আটকে রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে এক হাজার ২১৪টি, ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সেবা এক হাজার ৬২টি এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে ৯৯২টি।
৮ ঘণ্টা আগে