বিজিবির অভিযানে ১৬৮ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে।

মঙ্গলবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জব্দ করা চোরাই পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২ কেজি ২৬৬.২২ গ্রাম স্বর্ণ ও ১২১ গ্রাম রূপা; ১৭ হাজার ২৩৪টি শাড়ি, ২১ হাজার ৩৩৮টি থ্রিপিস, শার্ট, চাদর ও কম্বল; ২৭ হাজার ৪৫০টি তৈরি পোশাক; ৯ হাজার ৭৪০ মিটার থান কাপড়; ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৮০টি প্রসাধন সামগ্রী; ৬ হাজার ৫৬৪টি ইমিটেশন গহনা; ১০ লাখ ৯ হাজার ৪২১টি আতশবাজি; ৬ হাজার ২১৬ ঘনফুট কাঠ; ১ হাজার ২৮৪ কেজি চা পাতা ও ১১ হাজার ৪৭৯ কেজি সুপারি; ৬৬ হাজার ৫৪৬ কেজি কয়লা; ১২ হাজার ৮৯০ ঘনফুট পাথর; ৫৯৭ কেজি সুতা, কারেন্ট ও দুয়ারি জাল; ১৫ হাজার ১৭৮টি প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী; ৪৪৫টি মোবাইল ফোন, ১৫ হাজার ১৪৫টি মোবাইল ডিসপ্লে; ৭৩ হাজার ৫৬৪টি চশমা; ৩৭ হাজার ৬৯০ কেজি জিরা, ৪ হাজার ৯৭০ কেজি চিনি, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯০ কেজি পেঁয়াজ, ১ হাজার ৭৩১ কেজি রসুন; ৪ হাজার ৬৮০ প্যাকেট বীজ, ৬ হাজার ৩২০ কেজি সার, ২ হাজার ৬৮৪ প্যাকেট কীটনাশক; ৪৮৫ লিটার ডিজেল; ১ লাখ ৬৮ হাজার ২১টি চকোলেট; ৮১৯টি গরু ও মহিষ; ১৬টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ১৭টি পিকআপ ও মহেন্দ্র, চারটি ট্রাক্টর, দুটি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ১৪টি ট্রলি, ১৭৯টি নৌকা, ৩৮টি সিএনজি ও ইজিবাইক, ৫৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩১টি বাইসাইকেল ও ভ্যান।

জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি দেশি পিস্তল, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি ম্যাগজিন, ১৯টি গোলাবারুদ, ২ কেজি ৩০০ গ্রাম গান পাউডার, তিনটি মাইন, ছয়টি ককটেল এবং ৯টি অন্যান্য অস্ত্র।

জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৯টি ইয়াবা, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৭ হাজার ১৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ২০৩ লিটার বাংলা মদ, ৬০৮ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫২৬ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫০ হাজার ৫৮৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৪৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮ হাজার ১৫৬টি সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৫৬ হাজার ১২০টি মদ তৈরির বড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৩টি ট্যাবলেট।

বিজিবি জানিয়েছে, অভিযানে ১৫৯ জন চোরাচালানকারী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৭ জন বাংলাদেশি ও দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মিয়ানমারের ৪০৩ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।