হিজাব ইস্যুতে ভিকারুননিসার সেই শিক্ষক বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১১

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতী শাখার একটি শ্রেণি কক্ষ হতে ২২ শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে বের করে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার বিকেলে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণি কক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার সহকারী শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কেন তাকে চাকরি হতে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হিজাব (ওড়না) পরায় ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগমতে, স্কুলের প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০-২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে আসে। সব ক্লাসে তারা উপস্থিত থাকলেও কোনো শিক্ষকই তাদের হিজাব নিয়ে আপত্তি করেননি। কিন্তু শেষ পিরিয়ডের ইংরেজি শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেন। এসময় তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

অভিযোগ সম্পর্কে তাৎক্ষনিকভাবে শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আমাদের স্কুলের একটা ড্রেস কোড আছে। এখানে কেউ পর্দা করতে হলে সাদা স্কার্ফ পরে আসতে হবে। কিন্তু অনেকেই ওড়না পরে এসেছে। এজন্য তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম জানিয়েছিলেন, তাদের স্কুলে হিজাব পরার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত