আন্দোলনের মুখে প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৬
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৩

ইসলামী দলগুলোর আন্দোলন ও কঠোর সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত এবং শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ দুটি পদ বাদ ছাড়াও ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা -২০২৫’-এ কিছু শব্দগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব পরিবর্তন এনে গত আগস্টে জারি করা বিধিমালাটি সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, ‘রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীর চর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিধিমালায় শব্দগত পরিবর্ত আনা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও বাকি ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এতে, মনে করা হচ্ছিল ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।

এর আগে চলতি বছরের গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে ইসলামী দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম গত ১৬ সেপ্টেম্বর সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

একই দিনে এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী এজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলো সাংবাদিক সম্মেলন করেও সঙ্গীত শিক্ষকের পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছিল।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত