শাপলা প্রতীক বিতর্কে মুখ খুললেন সিইসি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১: ১১
শাপলা প্রতীক

জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা, সন্দেহ ও উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি, নিবন্ধন প্রক্রিয়া, প্রতীক বিতর্ক ও রাজনৈতিক চাপ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন যাচাই-বাছাই শুরু করেছে। সিইসি জানান, দেড়শোর মতো রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করলেও সব দলকে নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব নয়। যারা নির্ধারিত কাগজপত্র ও শর্ত পূরণ করতে পারবে না, তাদের নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

সিইসি বলেন, ‘আমরা স্ক্রুটিনি (যাচাই বাছাই) শুরু করে দিয়েছি। আমাদের ফিল্ড অফিসে ৫ হাজার ৭০০ জন লোক কাজ করে। তারাই যাচাই-বাছাই করছে। অনেক রিপোর্ট ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে।’

সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল শাপলা প্রতীক নিয়ে বিতর্ক। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এবং আগের নিবন্ধিত দল নাগরিক ঐক্য—দুই দলই এই প্রতীক দাবি করেছে।

এ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টা আমরা সিরিয়াসলি কমিশনে বিবেচনা করেছি। আমাদের পাঁচ সদস্যের কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস ছাড়া নেয় না। শাপলা প্রতীক নিয়ে আইনি বিষয়ও আছে, যেমন—এটি জাতীয় ফুল।’

তিনি জানান, নাগরিক ঐক্য আগেই এই প্রতীক চেয়েছিল, তবে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো দলকেই শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না।

তার কথায়, ‘শুনেছেন আমরা কখনো দলাদলি করেছি? শাপলা নিয়ে আমরা ইনভেস্টিগেট করেছি। আইনি দিকও দেখেছি। কমিশনের সিদ্ধান্ত—শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না।’

সাক্ষাৎকারে জামায়াতের আগের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফেরত দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সিইসি বলেন, ‘২০১৩ সালে কোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছিল, ফলে প্রতীকও বাদ গিয়েছিল। এখন আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে স্ট্যাটাস কু বহাল হওয়ায় প্রতীকসহই তাদের রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।’

নিজের দায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এই দায়িত্বটা আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি চাই হাসিমুখে ঢুকেছি, হাসিমুখে যেন বিদায় নিতে পারি। দেশের এই ক্রান্তিকালে আমি কিছু দিতে চাই।’

তিনি সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সবার সহায়তায় আমি আমার দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করতে চাই—ইনশাল্লাহ।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত