উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩: ৪৯

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) সেনা ও পুলিশের গুলিতে এক শ্রমিক নিহত এবং অন্তত আটজন আহত হওয়ার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলাম বলেন, “শ্রমিকদের ট্যাক্সের টাকায় সরকার অস্ত্র কিনে আবার সেই শ্রমিকদের ওপরই গুলি চালাচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা হোক। নয়তো শেখ হাসিনার সরকারের মতো এ সরকারকেও পালাতে হবে।”

জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান বলেন, “ইপিজেডে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় শ্রমিকদের শোষণ করছে। ন্যায্য দাবি জানাতে গেলে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। অথচ যৌথ বাহিনী কোম্পানির পক্ষ নিয়ে শ্রমিকদের রক্ত ঝরাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ অভিযোগ করে বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার বদলে শ্রমিকদের ছাঁটাই করে পরে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়, যাতে তাদের বেতন না বাড়ে। এটি স্পষ্ট অন্যায়। যৌথ বাহিনী শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে অবহেলিত নীলফামারীর মানুষের ওপর জুলুম করেছে।”

সমাবেশে নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বপন সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন কোম্পানির শ্রমিকরা গত শনিবার থেকে আন্দোলনে নামে। মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ইকু ইন্টারন্যাশনালের শ্রমিক হাবিবুর রহমান নিহত হন এবং অন্তত ১২ জন আহত হন। শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে—জেনারেল ম্যানেজারের পদত্যাগ, ছাঁটাই বন্ধ করে পুরোনো লে-অফ পদ্ধতিতে ফেরা, নামাজের সময় নিশ্চিত করা, স্যালারি কার্ড বাতিল, স্বেচ্ছায় পদত্যাগে লে-অফ সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও পুরোনো শ্রমিকদের আইডি পুনর্বহালসহ ২৩ দফা দাবি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত