৩৮৯ সচেতন নাগরিকের বিবৃতি

সিনিয়র রিপোর্টার

সম্প্রতি খসড়াকৃত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের ৬৬ (ক) ধারা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে- এই মর্মে দেশের ৩৮৯ জন সচেতন নাগরিক বিবৃতি প্রদান করেছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) মূল্যবোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা দেশের সচেতন নাগরিকগণ খসড়াকৃত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর ৬৬ (ক) ধারা এবং এর ৪নং উপধারায় ব্যবহৃত অস্পষ্ট ও বিস্তৃত শব্দচয়ন—যেমন ‘অখণ্ডতা’, ‘নিরাপত্তা’, ‘সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ’, ‘ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক’, ‘জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’—মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত হুমকি হিসেবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এসব শব্দ স্বভাবগতভাবে সংবেদনশীল, ব্যাখ্যাভিত্তিক এবং আইনি অর্থে নির্দিষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও এগুলোর কোনো স্পষ্ট সংজ্ঞা অধ্যাদেশটিতে না দিয়ে বলা হয়েছে - ‘কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে আদালতের ব্যাখ্যাই প্রণিধানযোগ্য হবে।’ এটি আইন প্রণয়নের মৌলিক নীতি ও সাংবিধানিক ভারসাম্যের পরিপন্থি। সংসদের দায়িত্ব স্পষ্ট আইন তৈরি করা; আদালতের দায়িত্ব সেই আইনের আলোকে বিচার করা। সংজ্ঞাহীন অপরাধ আদালতের ব্যাখ্যার ওপর ছেড়ে দিলে বিচারব্যবস্থা অনিচ্ছাকৃতভাবে আইনপ্রণেতার ক্ষমতা গ্রহণ করে, যা আইনের শাসন ও জনগণের অধিকারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “অতীতে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অস্পষ্ট ধারাগুলোর কারণে ব্যাপক হয়রানি, মামলা, গ্রেপ্তার এবং সাধারণ নাগরিকের অপরাধীকরণের ঘটনা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। অস্পষ্ট শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দেখিয়েছে কীভাবে এ ধরনের আইন অপপ্রয়োগের সুযোগ তৈরি করে। ৬৬(ক) ধারার অসংজ্ঞায়িত পরিভাষা সেই পুরোনো সমস্যাকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা তৈরি করেছে।”
৩৮৯ জন সচেতন নাগরিকের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সংবিধান মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করলেও, সংজ্ঞাহীন ও ব্যাখ্যাভিত্তিক আইনের ফলে নাগরিক আগে থেকেই জানতে পারেন না কোন বক্তব্য বৈধ আর কোনটি ব্যাখ্যার মাধ্যমে অপরাধে পরিণত হতে পারে। এটি আইনি পূর্বানুমানযোগ্যতা (legal certainty) নষ্ট করে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কার্যকারিতা হরণ করে।’
তারা বলেন, ‘অসংজ্ঞায়িত অপরাধ, প্রশাসননির্ভর প্রয়োগ ও বিচারিক ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল ধারা কোনো গণবান্ধব রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনের শক্তি তার স্বচ্ছতায়— অস্পষ্টতায় নয়। অতএব, ৬৬(ক) ধারাকে সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, সীমাবদ্ধ ব্যাখ্যা এবং পূর্বানুমানযোগ্য প্রয়োগের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতি প্রদানকারীদের মাঝে রয়েছেন ধানমন্ডি তাকওয়া সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতী সাইফুল ইসলাম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ঢাকার মারকাযুল কুরআনের শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ ওবায়দী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শামীমা তাসনীম, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাহিরা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের প্রফেসর আ খ ম ইউনুস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মশিউর রহমান, ডুয়েটের প্রফেসর কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. সাইফুল আলম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ খান, সরোবরের চিফ মার্কেটিং অফিসার শরীফ আবু হায়াত অপু, প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. ইরতিফা তাসনীম, অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. নুরুল আলম মিয়া, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সালেহ আহমদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, কোয়ালিটেক বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এহসানুল হক, ঢাকা ইন্টারন্যাশল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ উল আলম শিবলি এবং মূল্যবোধ আন্দোলনের মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ সাদাত সহ অন্যান্যরা।
বিবৃতিপ্রদানকারীদের সম্পূর্ণ তালিকা www.mullobodh.com সাইটে প্রদান করা হয়েছে।

সম্প্রতি খসড়াকৃত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের ৬৬ (ক) ধারা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে- এই মর্মে দেশের ৩৮৯ জন সচেতন নাগরিক বিবৃতি প্রদান করেছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) মূল্যবোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা দেশের সচেতন নাগরিকগণ খসড়াকৃত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর ৬৬ (ক) ধারা এবং এর ৪নং উপধারায় ব্যবহৃত অস্পষ্ট ও বিস্তৃত শব্দচয়ন—যেমন ‘অখণ্ডতা’, ‘নিরাপত্তা’, ‘সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ’, ‘ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক’, ‘জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’—মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত হুমকি হিসেবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এসব শব্দ স্বভাবগতভাবে সংবেদনশীল, ব্যাখ্যাভিত্তিক এবং আইনি অর্থে নির্দিষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও এগুলোর কোনো স্পষ্ট সংজ্ঞা অধ্যাদেশটিতে না দিয়ে বলা হয়েছে - ‘কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে আদালতের ব্যাখ্যাই প্রণিধানযোগ্য হবে।’ এটি আইন প্রণয়নের মৌলিক নীতি ও সাংবিধানিক ভারসাম্যের পরিপন্থি। সংসদের দায়িত্ব স্পষ্ট আইন তৈরি করা; আদালতের দায়িত্ব সেই আইনের আলোকে বিচার করা। সংজ্ঞাহীন অপরাধ আদালতের ব্যাখ্যার ওপর ছেড়ে দিলে বিচারব্যবস্থা অনিচ্ছাকৃতভাবে আইনপ্রণেতার ক্ষমতা গ্রহণ করে, যা আইনের শাসন ও জনগণের অধিকারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “অতীতে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অস্পষ্ট ধারাগুলোর কারণে ব্যাপক হয়রানি, মামলা, গ্রেপ্তার এবং সাধারণ নাগরিকের অপরাধীকরণের ঘটনা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। অস্পষ্ট শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দেখিয়েছে কীভাবে এ ধরনের আইন অপপ্রয়োগের সুযোগ তৈরি করে। ৬৬(ক) ধারার অসংজ্ঞায়িত পরিভাষা সেই পুরোনো সমস্যাকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা তৈরি করেছে।”
৩৮৯ জন সচেতন নাগরিকের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সংবিধান মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করলেও, সংজ্ঞাহীন ও ব্যাখ্যাভিত্তিক আইনের ফলে নাগরিক আগে থেকেই জানতে পারেন না কোন বক্তব্য বৈধ আর কোনটি ব্যাখ্যার মাধ্যমে অপরাধে পরিণত হতে পারে। এটি আইনি পূর্বানুমানযোগ্যতা (legal certainty) নষ্ট করে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কার্যকারিতা হরণ করে।’
তারা বলেন, ‘অসংজ্ঞায়িত অপরাধ, প্রশাসননির্ভর প্রয়োগ ও বিচারিক ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল ধারা কোনো গণবান্ধব রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনের শক্তি তার স্বচ্ছতায়— অস্পষ্টতায় নয়। অতএব, ৬৬(ক) ধারাকে সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, সীমাবদ্ধ ব্যাখ্যা এবং পূর্বানুমানযোগ্য প্রয়োগের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতি প্রদানকারীদের মাঝে রয়েছেন ধানমন্ডি তাকওয়া সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতী সাইফুল ইসলাম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ঢাকার মারকাযুল কুরআনের শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ ওবায়দী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শামীমা তাসনীম, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাহিরা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের প্রফেসর আ খ ম ইউনুস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মশিউর রহমান, ডুয়েটের প্রফেসর কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. সাইফুল আলম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ খান, সরোবরের চিফ মার্কেটিং অফিসার শরীফ আবু হায়াত অপু, প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. ইরতিফা তাসনীম, অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. নুরুল আলম মিয়া, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সালেহ আহমদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, কোয়ালিটেক বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এহসানুল হক, ঢাকা ইন্টারন্যাশল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ উল আলম শিবলি এবং মূল্যবোধ আন্দোলনের মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ সাদাত সহ অন্যান্যরা।
বিবৃতিপ্রদানকারীদের সম্পূর্ণ তালিকা www.mullobodh.com সাইটে প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর উদ্যোগে এবং বেসিস স্টুডেন্টস’ ফোরামের সহযোগিতায় ঢাকার ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট এবং একই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মাদ।
৩৫ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির নির্বাচনি প্রচারণায় ময়লা পানি ছুড়ে মারা হয়েছে। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে প্রচারণাকালে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হোসনা সিদ্দিকীকে জড়িয়ে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগে