পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করলেন সেই গৃহকর্মী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ০৬

নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহকর্মী।

বিজ্ঞাপন

পরীমনিকে এক নম্বর আসামি করে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী। এবার মামলায় পরীমনির ফ্ল্যাটে বসবাস করা সৌরভ নামে এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান বলেন, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল পরীমনির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে ঢাকার ভাটারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন পিংকি আক্তার। তবে সেখানে প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলার আবেদন করে ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার। আদালত বাদির জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে পরীর বাসায় কাদের এজেন্সি নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দেন। একটি বাচ্চাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে এজেন্সি হতে বাদীকে আসামিদের বাসায় নিয়োগ দেয়া হয়। তবে সেখানে তাকে দু’টি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হতো। এছাড়া বাদীকে দিনে ও রাতে উভয় সময় বাসার রান্নার কাজ করানো হতো বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। বাদির চাকরি একান্ত আবশ্যক হওয়ায় তিনি মুখ বুঝে সব সহ্য করে আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তবে চলতি বছরের ২ এপ্রিল দুপুরে পরীমনি তার মেকআপ রুম থেকে বের হয়ে বাচ্চার রুমে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। গালিগালাজ কেন করছেন জানতে চাইলে পরীমনি বাদীকে বলে, ‘তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরি করছিস, এখন ওকে সলিড খাবার দিবি। বাদি জবাবে বলেন, বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুযায়ী এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি।

এই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরীমনি বাদীকে মাথায়, মুখে ও চোখে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পিংকি পরীমনির মারধরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বাদী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে যেতে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরীমনিকে বার বার অনুরোধ করতে থাকেন। ঘটনার সময় ২ নম্বর আসামি সৌরভ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আসামিরা বাদীর কোনো কথা শোনেননি। উপরন্তু আসামি সৌরভ পিংকিকে নির্যাতন করার জন্য পরীমনিকে উৎসাহিত করতে থাকেন।

পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ আসলে নিরাপদে আশ্রয় মেলে ভুক্তভোগী পিংকির। সেখান থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। এরপর গত ৪ এপ্রিল ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত