হাদির কিছু হলে সেদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের শেষদিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চ-এর সদস্য সচীব আবদুল্লাহ আল জাবের।
রোববার রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। আপনারা এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওসমান হাদিকে গুলি যারা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেন নাই। সুতরাং আমরা ইনকিলাব মঞ্চ থেকে বলতে চাই— আল্লাহ না করুক ওসমান হাদির যদি কিছু হয়ে যায়, সে নিঃশ্বাস বন্ধ করে-সেইদিন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শেষ দিন হবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা চুপ রয়েছি এর জন্য আপনারা মনে করবেন না যে ওসমান হাদি শুধু একা। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনতা এখন ওসমান, ওসমান হাদি বলেছে। স্লোগান দেয় যে, আমরাই ওসমান হাদি। সুতরাং আপনার এই ক্ষমতা, আপনার এই রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অতিদ্রুত যারা এর পিছনে দায়ী রয়েছেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হোক।
এসময় আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় একটা ব্যাপার হচ্ছে যে আমাদের আইনজীবীরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তারা আসলে এই পেশাটাকে যে কীভাবে গ্রহণ করে আমি জানি না। তারা মনে করে যে টাকার কাছে মানবতা বিক্রি করে দেয়া যায়। টাকার কাছে রাষ্ট্রকে বিক্রি করে দেয়া যায়। নয়তো তার মতো একজন সিরিয়াল কিলারকে কীভাবে তারা এই জামিন দিল-যে অস্ত্র মামলায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চ সদস্য সচিব বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রাখবেন। মিডিয়াগুলোতে আপনারা যাদেরকে আমন্ত্রণ জানান, তাদেরকে আমরা দেখি যে একজন মানুষ হসপিটালের বিছানায় পড়ে আছে-আর তাকে নিয়ে তারা উল্লাস প্রকাশ করছে। এই ধরনের মানুষকে আপনারা যখন টকশোতে আমন্ত্রণ জানান, তখন আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু বলবার থাকে না-শুধু ধিক্কার জানাতে ইচ্ছা হয়। আমরা আর এই ধিক্কার জানাতে চাই না। আমরা মনে করি আপনারা যাদেরকে এই টকশোগুলোতে আমন্ত্রণ জানান -আপনাদের অবশ্যই এই ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ মানবাধিকার শুধু মানুষের জন্য, কোনো পশুর জন্য কোনো মানবাধিকার নাই। দেশের মানুষ এদের কথা গণমাধ্যম থেকে জানতে চায় না।


তিন দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা ডাকসুর
আনিস আলমগীরকে ছেড়ে দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও