দেশের সব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে টানা ৪৭ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের বাধায় প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। এতে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
আজ সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদেরকে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। পরে তারা দুপুরে লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করতে করতে গেলে পুলিশের বাধায় প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। দীর্ঘ সময় রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর ২টার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানান, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে।
তারা অভিযোগ করেন, বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করা হলেও প্রক্রিয়াটি চলছে ধীরগতিতে। ইতোপূর্বে স্বীকৃতি পাওয়া ৫৭টি বিদ্যালয় এবং আবেদনকৃত বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক-কর্মচারীরা একাধিকবার আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অথচ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে কাজ করছেন শিক্ষকরা। কিন্তু সরকার তাদের দাবি উপেক্ষা করছে। তারা অবিলম্বে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দাবি হলো— সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা। সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা। বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার টাকার শিক্ষা উপবৃত্তি, মিডডে মিল, মানসম্মত শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা। শিক্ষার্থীদের ভোকেশনাল কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। চাকরিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা নিশ্চিত করা।
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন আমার দেশকে বলেন, আমরা কয়েকজন যমুনাতে গিয়েছিলাম, সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে সব কিছু জানানো হবে।

