অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দেশের আরো চার সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবে ৮০১ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব লেনদেন হয়েছে ব্যক্তির নিজস্ব হিসাব, ব্যবসায়ী হিসাব ও পরিবারের হিসাবে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের অ্যাকাউন্টে, যার পরিমাণ ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকাই হচ্ছে তার ব্যবসায়িক লেনদেন।
আহমেদ জোবায়ের ছাড়া অন্য তিন সাংবাদিক হলেন পতিত প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ও সারক্ষণ.কমের সম্পাদক স্বদেশ রায় এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত।
গত বছরের নভেম্বরে এই চার সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে মন্ত্রণালয়কে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া হয়। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের ব্যাংক হিসাব খোলার শুরু থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার নিজের নামের আটটি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয় ২৫ লাখ টাকা ও ব্যবসায়িক কাজে পরিচালিত দুটি ব্যাংক হিসাবে ৭৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
পরিবারিক লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব হিসাব থেকে বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয় এক হাজার ১৯ কোটি টাকা। লেনদেনের চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি মূলত ঋণ নেওয়ার কারণে। তার ব্যবসায়িক হিসাবে বর্তমানে ২৫২ কোটি টাকা ঋণাত্মক ব্যালেন্স আকারে রয়েছে।
বিএফইউজের (আওয়ামী লীগ অংশ) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নিজ নামে ১২টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর বাইরে তার পরিবারের নামে ১৮টি ও ব্যবসায়িক একটি অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সবগুলো ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে গত নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তার নিজ অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকা, ব্যবসায়িক হিসাবে ৩৬ লাখ ও পরিবারিক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন সময় উত্তোলন হয়েছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
স্বদেশ রায়ের ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার নিজ নামে ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের নামে ১২টি হিসাবে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়। বিভিন্ন সময় এসব ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ৪ কোটি টাকা।
আশিষ ঘোষ সৈকতের নিজ নামে ১১টি ও পরিবারের ৩৯ ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, এসব হিসাবে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। তার নিজস্ব হিসাবে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের হিসাবে ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময় এসব হিসাব থেকে ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে স্থিতি রয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এর আগে দেশের ২৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবে এক হাজার ২৬৮ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক হাজার ২৩৮ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানে ৩০ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
এসব সাংবাদিকের মধ্যে দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারাবন্দি শ্যামল দত্তের ২৩টি ব্যাংক হিসাবে এক হাজার ৪২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ কোটি টাকা লেনদেন হয় দৈনিক কালবেলার সম্পাদক-প্রকাশক সন্তোষ শর্মার ব্যাংক হিসাবে।
দেশের আরো চার সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবে ৮০১ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব লেনদেন হয়েছে ব্যক্তির নিজস্ব হিসাব, ব্যবসায়ী হিসাব ও পরিবারের হিসাবে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের অ্যাকাউন্টে, যার পরিমাণ ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকাই হচ্ছে তার ব্যবসায়িক লেনদেন।
আহমেদ জোবায়ের ছাড়া অন্য তিন সাংবাদিক হলেন পতিত প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ও সারক্ষণ.কমের সম্পাদক স্বদেশ রায় এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত।
গত বছরের নভেম্বরে এই চার সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে মন্ত্রণালয়কে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া হয়। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের ব্যাংক হিসাব খোলার শুরু থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার নিজের নামের আটটি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয় ২৫ লাখ টাকা ও ব্যবসায়িক কাজে পরিচালিত দুটি ব্যাংক হিসাবে ৭৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
পরিবারিক লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব হিসাব থেকে বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয় এক হাজার ১৯ কোটি টাকা। লেনদেনের চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি মূলত ঋণ নেওয়ার কারণে। তার ব্যবসায়িক হিসাবে বর্তমানে ২৫২ কোটি টাকা ঋণাত্মক ব্যালেন্স আকারে রয়েছে।
বিএফইউজের (আওয়ামী লীগ অংশ) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নিজ নামে ১২টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর বাইরে তার পরিবারের নামে ১৮টি ও ব্যবসায়িক একটি অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সবগুলো ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে গত নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তার নিজ অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকা, ব্যবসায়িক হিসাবে ৩৬ লাখ ও পরিবারিক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন সময় উত্তোলন হয়েছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
স্বদেশ রায়ের ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার নিজ নামে ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের নামে ১২টি হিসাবে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়। বিভিন্ন সময় এসব ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ৪ কোটি টাকা।
আশিষ ঘোষ সৈকতের নিজ নামে ১১টি ও পরিবারের ৩৯ ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, এসব হিসাবে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। তার নিজস্ব হিসাবে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের হিসাবে ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময় এসব হিসাব থেকে ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে স্থিতি রয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এর আগে দেশের ২৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবে এক হাজার ২৬৮ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক হাজার ২৩৮ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানে ৩০ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
এসব সাংবাদিকের মধ্যে দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারাবন্দি শ্যামল দত্তের ২৩টি ব্যাংক হিসাবে এক হাজার ৪২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ কোটি টাকা লেনদেন হয় দৈনিক কালবেলার সম্পাদক-প্রকাশক সন্তোষ শর্মার ব্যাংক হিসাবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চেয়ে জটিলতা তৈরি করছে বিএনপি। নভেম্বরে গণভোট হলে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
১৪ মিনিট আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন ১২ নির্দেশনা জারি করেছে। বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনা সংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১৫ মিনিট আগেপর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
৪৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগে