ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প নিয়ে নয়-ছয়, তদন্তে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ২০: ১৫
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ২১: ০১

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি (বিটিসিএল) কর্তৃক গৃহীত ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প।

প্রায় ৩২৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে দ্বন্দ এবং হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আভ্যন্তরীণ একটি বৈঠকে প্রকল্পের টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার আহ্বানের সিদ্ধান্ত দেন সেই সময় দায়িত্ব পালনকারী সাবেক মন্ত্রী। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন পরিচালক বৃহস্পতিবার আমার দেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

দুদক জানায়, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন উপেক্ষা করে ২৬ টেরাবাইট সক্ষমতার প্রকল্পে সক্ষমতা ১২৬ টেরাবাইট উল্লেখ করে প্রকল্পে ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিটিসিএলের বোর্ড সভা ডাকাসহ দরপত্র মূল্যায়ন থেকে কার্যাদেশ দেওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে অনিময় এবং কোম্পানি বিধি লংঘন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং বিটিসিএলের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ দুদকের হাতে এসেছে।

সূত্র জানায়, গত ২১ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে দূর্নীতি দমন কমিশনের মাহপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়ে তদন্তকালীন সময়ে ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের চূড়ান্ত বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারখানা পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়। দুদকের অনুসন্ধানী দল এরই মধ্যে এ প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত